বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৩

বাঙালিদের প্রকৃত অবস্হা সম্পর্কে একজন উপজাতি সাংবাদিকের লেখা!

পার্বত্য চট্টগ্রামের অবহেলিত বাঙালিদের প্রকৃত অবস্হা সম্পর্কে একজন উপজাতি সাংবাদিকের লেখা পড়ুন >>
"বান্দরবান রাজভিলা ইউনিয়নের পূর্নবাসিত বাঙ্গালীদের দেখার কেউ নেই"

চাউচিং মারমা, রাজস্থলী:-সবাইতো সুখী হতে চাই। সুখের জীবন কেনা ভালবাসে। তাই সুখের সন্ধানে মায়ের ভুমি ত্যাগকরে এসেছিল বান্দরবান উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়নেরইসলামপুর এলাকায়। কিন্তু ত্রিশ বছরের সুখের বদলে বেড়েছে সংকটের জীবন। দেখেও দেখেনা প্রতিশ্রুতিবাদী রাজনৈতিক নেতারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসবপূর্নবাসিত বাঙ্গালীদের জীবন কেমন চলছে। আশি দশকের পরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ সরকার আমলে এসব বাঙ্গালীরা সমতলের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন শুরু করেন। সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধা প্রতিশ্রুতি ঘোষনায় তাদেরকানে যেন কোকিলে কন্ঠে চেয়ে মধুর ছিল। তাই সরকারীভাবে রিফিউজি কার্ডধারী ছাড়াও অনেকেই পরিবার নিয়ে আসেন পাহাড়ে।প্রচুর পরিত্যাপ্ত ভুমিতেএকটু স্বচ্ছভাবে বসবাসের আশায়। এখানে বসতি স্থাপন পর থেকে আর সুখ পাখির সন্ধান মিলনা। সুখের অপেক্ষায় ত্রিশ বছর অতিবাহিত হল। এখন আর এসব সুখের কথা তারা বিশ্বাস করছে না। সবকিছুই ভাগ্য লিখন উপর ছেড়ে জীবন চলছে। ছেলে মেয়ে আতœীয়-স্বজন পরিবার পরিজন সমাজ ব্যবস্থা সবকিছুই গড়ে তুলেছে পাহাড়ের বৈচিত্রময়পরিবেশের সাথে। প্রজন্মেরসন্তানগুলো এখন আর রিফিউজি নয়। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্তান বলে তাদের দাবী। তাই সব ছেলে মেয়েরা সমতল ভুমিতে বসবাস করারও ইচ্ছাপ্রকাশ করছে না। কিন্তু ত্রিশ বছরের সমতল চেয়ে এখানে তাদের কি উন্নতি হলো ? এসব প্রশ্নে কোন উত্তর দিতে পারছে না তারা।
সরেজমিনে ইসলামপুর বাজার এলাকা বালুমুড়া মুসলিম পাড়ার মুদি দোকানদার মোঃ জাবেদ আলী(৪২) বলেন, পশ্চিশ বছর আগে ব্যবসা করতে এসে একজন রিফিউজির সাথে সর্ম্পক হয়। তার কাছ থেকে তিনি চল্লিশ শতক জায়গা কিনে রাঙ্গুনিয়া চারাবটতলী গ্রাম ছেড়ে এখানে বসতি স্থাপন করেন। তিনি জানান, বান্দরবান রাজভিলা ৩নং ওয়ার্ডে আওতায় বালুমুড়া মুসলিম পাড়ায় ত্রিশ বছরেরও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা হয়নি। তাদের খাবার, গোসলসহসব কাজের ব্যবহার একমাত্রবাধেঁর পানি। নেই কোন স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ঘর। পাড়ার প্রায় চৌব্বিশটি পরিবারের কারো ঘরের ছেলে মেয়ে মেট্রিক পাশ করেনি। অথচ পা বাড়ালে বিদ্যুৎ, সলিল রাস্তা, হাট-বাজার সবকিছু আধুনিক ব্যবস্থা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিশ বছরের সরকারের কোন সুযোগ-সুবিধাপায়নি। পাড়ার অনেকেই ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ড পেতেদেখেছে। কিন্তু তার ভাগ্যআর হয়ে উঠেনি।
মোঃ নুরুল হোসেন (৪৮) তিনিরাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পৈত্রিক ভিটা খুলনার সুন্দরবন। তিনিও ত্রিশ বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। আত্নীয়-স্বজনের কথা শুনে এখানে তার আসা। কোন রিফিউজি কার্ড পায়নি। তিনি জানান, দুই বছর পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারের জন্য গম বরাদ্দ ছিল। তারপর থেকে পাহাড়ের গাছ, বাশঁ কাটা আর দিন মজুরী জীবন। এখন এসব কিছুই নেই। গাছ, বাশঁ উজারহয়ে গেছে নিচ্ছে না কেউ শ্রমিক হিসেবে। আর যারা রিফিউজি কার্ড পেয়ে পাচঁ একর পাহাড় বন্দোবস্তী ছিল। তারাও অনেকেই অভাবে বসতি ভিটা রেখে বিক্রি করে দিচ্ছে। পারেনি ত্রিশবছরের নিদিষ্ট কোন পেশায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে।তার দুঃখ, কেউ তাদের কথা ভাবে না। আমরা অভাবী মানুষ আমাদের কথা কে বলবে? এ সব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে সদস্য মোঃ জয়নাবের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকারীভাবে বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থা হয়নি। বেসরকারী সংস্থা গ্রীন হিল রিংস্লাব ও নলকুপ ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু এলাকার মানুসগুলো অসচেতনতা নষ্ট হয়ে গেছে। রাজভিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্যসিংশৈ মারমা বলেন, বিশুদ্ধ পানি সংকটের বিষয় অনুধাপন করে এ পর্যন্ত ১৫টি বরাদ্দের মধ্যে ৩নং ওয়ার্ডের জন্য রিংওয়েল একটি এবং ডিএইচ পি ৩টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দে অপ্রতুলতায় বিশুদ্ধ পানি সংকট সহসা সমাধান করার সম্ভব নয়। * সিএইচটিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালি উচ্ছেদের আয়োজন চূড়ান্ত!


সরকার
বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার
চাপে পার্বত্য চট্টগ্রাম
ভূমি আইনে বেশ কিছিু সংশোধনী চূড়ান্ত
করেছে। এসব সংশোধনী কার্যকর
হলে সেখান থেকে বাঙালিরা উচ্ছেদ
হয়ে যাবে আর পার্বত্য ভূমির ওপর
সরকারের কর্তৃত্ব বলতে কিছুই
থাকবে না।
এ দিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের
ভূমি বিরোধের নিষ্পত্তি ঠিক
কবে হবে সেটি নিশ্চিত করে সরকারের
তরফে কেউ বলতে পারছেন না।
তবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের
একটি সূত্র মতে মেয়াদ শেষ হওয়ার
আগেই সরকার এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত
নির্দেশনা দিয়ে যাবে।
গত বছরের ১৯ জুলাই পার্বত্য
চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান
বিচারপতি খাদেমুল ইসলামেরমেয়াদ
শেষের পর সরকার এ পদে নতুন
করে কাউকে নিয়োগ দেয়নি।একই
সাথে কমিশনের নিয়মিত কার্যক্রম
বন্ধ করে দেয়া হয়। ৯ মাস
ধরে কমিশনে কোনো কাজই হচ্ছে না।
গত বছরের জুলাই মাসের শেষ
দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি আইনের
সংশোধনী চূড়ান্ত করা নিয়ে সরকারের
ভেতরে বিরোধ দেখা দেয়। রাজনৈতিক
সিদ্ধান্তের কারণে ভূমি আইনের
১৩টি সংশোধনী আনা হয়েছে উল্লেখ
করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ
কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, এ আইন
কার্যকর করা হলে পার্বত্যচট্টগ্রাম
থেকে বাঙালিদের
বেরিয়ে আসতে হবে। অথচ পার্বত্য
চট্টগ্রাম চুক্তি অনুসারেসেখানে বৈধ
নাগরিকদের থাকার কথা। তারমতে,
কেবল বাঙালি নয় সেখানে সরকারও
অনেকটা কার্যকরহীন হয়ে পড়বে।
বিশেষ করে সরকারের ভূমির
সার্বভৌমত্ব বা কর্তৃত্ব থাকবে না।
তার ওপর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের
সংরক্ষিত বনাঞ্চল, জলে ভাসা ভূমি,
এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের
হাতে স্থাপিত রাষ্ট্রের প্রথম ভূ-
উপগ্রহের জমির ওপরও সরকারের
কর্তৃত্ব থাকবে না। এ
দিকে বোমাং সার্কেলের ১৭তম
রাজা হিসেবে নির্বাচিত উ চ প্রু
বলেছেন, পাহাড়ে বাঙালি-
পাহাড়ি বিভেদ
তৈরি করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব
হবে না। ভূমি সমস্যার সমাধানে সব
পক্ষকে আন্তরিক হতে হবে।
ভূমি আইনের
সংশোধনী সম্পর্কে ভূমি সচিব
মোখলেসুর রহমানের
কাছে জানতে চাইলে তিনি নয়া দিগন্ত
এখনো পার্বত্য ভূমি আইন চূড়ান্ত হয়নি।
এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়েরয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য
চট্টগ্রামে ভূমি নিয়ে সরকারের
ভেতরে বিরোধ চলছে। এ বিরোধ
মেটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী তার
তরফে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর
রিজভীকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
তবে সরকারের শীর্ষ
কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন,
আলোচিত সংশোধনী যদি চূড়ান্ত করা হয়
তাহলে পাহাড়ে সরকারের
কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। রাষ্ট্রের
মোট ভূমির ১০ শতাংশ নিয়ে পার্বত্য
চট্টগ্রাম গঠিত।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, সরকারের
ওপর বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার
চাপে রাজনৈতিকভাবে আইনটি সংশোধন
চেষ্টা করা হচ্ছে।
আসলে এখানে সে রকম কোনো কিছুর
দরকার নেই।
জনসংহতি সমিতি সরকারকে এ আইন
সংশোধনে বাধ্য করতে বিদেশীদের
দ্বারস্থ হচ্ছে।
সূত্র মতে, রাষ্ট্রের
ভেতরে আরেকটি রাষ্ট্রের আদল
গড়ে তুলবে এ আইন। তাই তারা এ
আইনটি সংশোধনের বিপক্ষে তাদের
অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।
তবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য খুব
একটা আমলে নিচ্ছে না সরকারের
রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
তারা মনে করছেন,
সমস্যা চুকিয়ে ফেলার জন্য আইনটির
প্রস্তাবিত ১৩টি সংশোধনীইচূড়ান্ত
করতে হবে।
২০০১ সালে এ আইনটি আওয়ামী লীগ
সরকারই করেছিল। যেটাকে কালো আইন
উল্লেøখ করে প্রত্যাখ্যান করে আসছিল
জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান
সন্তু লারমা। তাকে সহযোগিতা করছেন
চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার
রাজা দেবাশীষ রায়। তিনি দেশে ও
দেশের বাইরের পাহাড়িদের
বিষয়টি সবার নজরে আনার
কাজটি করে থাকেন। আইন
সংশোধনে সর্বশেষ যে যৌথ সভা সরকার
করেছিল তিনি সেখানেও হাজির
ছিলেন।
সরকারের দাবি ও নৃবিজ্ঞানীদের
বিশ্লেষণ মতে,
দেশে কোনো আদিবাসী না থাকলেও
ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়
বাংলাদেশের হয়েও জাতিসঙ্ঘের
আদিবাসীবিষয়ক
ফোরামে আদিবাসী সদস্য।
রাজা দেবাশীষ পার্বত্য চট্টগ্রাম
থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদের
পক্ষে জনমত তৈরি করছেন বলে অভিযোগ
করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার
আন্দোলনের নেতা মনিরুজ্জামান।
তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, পাহাড়
থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদে সবাই এখন
শোর তুলেছে ভূমি আইন সংশোধনের। এ
আইন সংশোধন করা হলে পার্বত্য
চট্টগ্রামে বাঙালিরা থাকতে পারবে ন
অথচ যুগের পর যুগ
ধরে সেখানে বাঙালিরা বসবাস
করে আসছেন।
অন্য দিকে জনসংহতি সমিতির
কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচারসম্পাদক মঙ্গল
কুমার চাকমা নয়া দিগন্তকে বলেছেন,
তাদের লক্ষ্য বাঙালি বিতাড়ন নয়।
তারা পাহাড়িদের
ভূমি মালিকানা বুঝে পেতে কাজ
করছেন।
এতে অবশ্য আশ্বস্ত
হতে পারছে না বাঙালিরা। কারণ
হিসেবে তারা বলেছেন, সরকার
এখানে যে ভূমি কমিশন করেছিল
তাকে প্রত্যাখ্যান
করেছে জনসংহতি সমিতি ও
ইউপিডিএফ। দু’আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল
নিজেদের মধ্যে বিবাদ করলেও
বাঙালিদের বিষয়ে তাদের অবস্থান
অভিন্ন উল্লেখ করে মনিরুজ্জামান
বলেন, এখানে বাঙালি খেদাও আন্দোলন
চলছে। এটা চলতে দেয়া উচিত
হবে না।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন
পুনর্গঠন করে নতুন
করে বিচারপতি খাদেমুল
ইাসলামকে নিয়োগ দেয়।
তবে জনসংহতি সমিতি ও পার্বত্য
চট্টগ্রামের তিনটি সার্কেলের
প্রধানরা তাকে বয়কট করেন। এ রকম
পরিস্থিতিতেও তিনি কাজ
চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
 #
সরকার বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার চাপে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি আইনে বেশ কিছিু সংশোধনী চূড়ান্ত করেছে। এসব সংশোধনী কার্যকর হলে সেখান থেকে বাঙালিরা উচ্ছেদ হয়ে যাবে আর পার্বত্য ভূমির ওপর সরকারের কর্তৃত্ব বলতে কিছুই থাকবে না।
এ দিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধের নিষ্পত্তি ঠিক কবে হবে সেটি নিশ্চিত করে সরকারের তরফে কেউ বলতে পারছেন না। তবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি সূত্র মতে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরকার এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়ে যাবে।
গত বছরের ১৯ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের মেয়াদ শেষের পর সরকার এ পদে নতুন করে কাউকে নিয়োগ দেয়নি। একই সাথে কমিশনের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। ৯ মাস ধরে কমিশনে কোনো কাজই হচ্ছে না।
গত বছরের জুলাই মাসের শেষ দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত করা নিয়ে সরকারের ভেতরে বিরোধ দেখা দেয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে ভূমি আইনের ১৩টি সংশোধনী আনা হয়েছে উল্লেখ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, এ আইন কার্যকর করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদের বেরিয়ে আসতে হবে। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুসারে সেখানে বৈধ নাগরিকদের থাকার কথা। তার মতে, কেবল বাঙালি নয় সেখানে সরকারও অনেকটা কার্যকরহীন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে সরকারের ভূমির সার্বভৌমত্ব বা কর্তৃত্ব থাকবে না। তার ওপর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল, জলে ভাসা ভূমি, এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে স্থাপিত রাষ্ট্রের প্রথম ভূ-উপগ্রহের জমির ওপরও সরকারের কর্তৃত্ব থাকবে না। এ দিকে বোমাং সার্কেলের ১৭তম রাজা হিসেবে নির্বাচিত উ চ প্রু বলেছেন, পাহাড়ে বাঙালি-পাহাড়ি বিভেদ তৈরি করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। ভূমি সমস্যার সমাধানে সব পক্ষকে আন্তরিক হতে হবে।
ভূমি আইনের সংশোধনী সম্পর্কে ভূমি সচিব মোখলেসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, এখনো পার্বত্য ভূমি আইন চূড়ান্ত হয়নি। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি নিয়ে সরকারের ভেতরে বিরোধ চলছে। এ বিরোধ মেটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী তার তরফে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন, আলোচিত সংশোধনী যদি চূড়ান্ত করা হয় তাহলে পাহাড়ে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। রাষ্ট্রের মোট ভূমির ১০ শতাংশ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠিত।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, সরকারের ওপর বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার চাপে রাজনৈতিকভাবে আইনটি সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে এখানে সে রকম কোনো কিছুর দরকার নেই। জনসংহতি সমিতি সরকারকে এ আইন সংশোধনে বাধ্য করতে বিদেশীদের দ্বারস্থ হচ্ছে।
সূত্র মতে, রাষ্ট্রের ভেতরে আরেকটি রাষ্ট্রের আদল গড়ে তুলবে এ আইন। তাই তারা এ আইনটি সংশোধনের বিপক্ষে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য খুব একটা আমলে নিচ্ছে না সরকারের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। তারা মনে করছেন, সমস্যা চুকিয়ে ফেলার জন্য আইনটির প্রস্তাবিত ১৩টি সংশোধনীই চূড়ান্ত করতে হবে।
২০০১ সালে এ আইনটি আওয়ামী লীগ সরকারই করেছিল। যেটাকে কালো আইন উল্লেøখ করে প্রত্যাখ্যান করে আসছিল জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা। তাকে সহযোগিতা করছেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়। তিনি দেশে ও দেশের বাইরের পাহাড়িদের বিষয়টি সবার নজরে আনার কাজটি করে থাকেন। আইন সংশোধনে সর্বশেষ যে যৌথ সভা সরকার করেছিল তিনি সেখানেও হাজির ছিলেন।
সরকারের দাবি ও নৃবিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণ মতে, দেশে কোনো আদিবাসী না থাকলেও ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বাংলাদেশের হয়েও জাতিসঙ্ঘের আদিবাসীবিষয়ক ফোরামে আদিবাসী সদস্য। রাজা দেবাশীষ পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদের পক্ষে জনমত তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের নেতা মনিরুজ্জামান।
তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, পাহাড় থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদে সবাই এখন শোর তুলেছে ভূমি আইন সংশোধনের। এ আইন সংশোধন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিরা থাকতে পারবে না। অথচ যুগের পর যুগ ধরে সেখানে বাঙালিরা বসবাস করে আসছেন।
অন্য দিকে জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা নয়া দিগন্তকে বলেছেন, তাদের লক্ষ্য বাঙালি বিতাড়ন নয়। তারা পাহাড়িদের ভূমি মালিকানা বুঝে পেতে কাজ করছেন।
এতে অবশ্য আশ্বস্ত হতে পারছে না বাঙালিরা। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, সরকার এখানে যে ভূমি কমিশন করেছিল তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফ। দু’আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে বিবাদ করলেও বাঙালিদের বিষয়ে তাদের অবস্থান অভিন্ন উল্লেখ করে মনিরুজ্জামান বলেন, এখানে বাঙালি খেদাও আন্দোলন চলছে। এটা চলতে দেয়া উচিত হবে না।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন পুনর্গঠন করে নতুন করে বিচারপতি খাদেমুল ইাসলামকে নিয়োগ দেয়। তবে জনসংহতি সমিতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি সার্কেলের প্রধানরা তাকে বয়কট করেন। এ রকম পরিস্থিতিতেও তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তার কাজের প্রতি স্থানীয় পাহাড়িদের আস্থা ছিল উল্লেøখ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, আস্থার প্রমাণ হলো ৫ হাজার পাহাড়ি কমিশনে তাদের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন করেছিল। সে আবেদন কেবল আঞ্চলিক পরিষদ ও পাহাড়ি সার্কেল চিফদের অসহযোগিতার কারণে নিষ্পত্তি করা যায়নি।
 http://ctgtimes.com/archives/32781

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৩

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা-বাঙ্গালী প্রত্যাহার ও খ্রিস্টান অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা-বাঙ্গালী প্রত্যাহারও খ্রিস্টান অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বপ্নঃ


নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বাংলাদেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে কারা থাকবে, কারা থাকতে পারবে না, তার ভাগ্য নির্ধারনের ইজারা যে বিদেশী প্রভূরা নিয়ে রেখেছে তা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক কথিত আন্তর্জাতিক কমিশনের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রতীয়ামান হয়েছে। অলিখিত চুক্তির দোহাই দিয়ে পার্বত্যাঞ্চলকে বাঙ্গালী শূন্য করার যে দাবী এতদিন যাবৎ সন্তু বাবুদের মুখে শুনে আসছিলাম, বর্তমানে চুক্তি বাস্তবায়নের এমন ক্ষণে শুনছি, বিদেশী কূটনীতি ও রাজনীতিবিদদের মুখে। অবশ্য পাহাড় থেকে বাঙ্গালী বিতাড়নে সিএইচটি কমিশন ষড়যন্ত্রের নতুনমাত্রা যোগ করেছে। তাহলো, বাঙ্গালীরা স্বেচ্ছায় পার্বত্য চট্টগ্রাম না ছাড়লে তাদের কে দেয়া সরকারি রেশনসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিতে হবে। (সূত্র দৈনিক ইনকিলাব)। কমিশনের  ধারণা, এতে বাঙ্গালীরা স্বেচ্ছায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে চলে যাবে।
সমস্যা আমাদের, মাথা ব্যাথা তাদের। আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে বিদেশী এ সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালীদেরকে বহিস্কার করতে সরকারের কাছে যে ফর্মূলা উপস্থাপন করেছে তা আমরা ১৫ বছর পূর্বেই ১৯৯৮ সালে লেখনির মাধ্যমে পার্বত্যবাসীকে অবগত করেছি।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমেই দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাধে চলাফেরার লাইসেন্স পায়। তারা সুকৌশলে  বাঙ্গালী ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার মাধ্যমে তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে (যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজাকারের ভূমিকা পালন করেছিল) খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল বানানোর মিশনি রূপরেখা অনুযায়ী এরাই চুক্তির দীর্ঘ ১ দশকের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কারা থাকবে, কারা থাকতে পারবে না।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা যেমন পুরাতন, তেমনি কঠিন। এই সমস্যা আমাদের, সমাধানও আমাদেরকে করতে হবে। কিন্তু অবাক লাগে তখন, যখন দেখি দেশে জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক সরকার থাকা সত্ত্বেও আমাদের সমস্যার বিষয়ে সমাধানের পথ বের করতে ইউরোপের কোন দেশে বিদেশী মিশনারীদের বৈঠক হয়। বিগত ২০০৮ সালের ৩১ মে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞদের সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ১২ জন সদস্য নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করা হয়। এ কমিশন জাতিসংঘের দায়িত্বশীল কোন সংস্থা নয় কিংবা বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে গঠিত কোন সংগঠনও নয়। আমাদের এই ভূ-খণ্ডের প্রাকৃতিক-খনিজ সম্পদ গ্রাস করতে এরা এ অঞ্চলের  মানুষদের নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে অতি উৎসাহ দেখিয়ে মূলতঃ এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদের সাংবিধানিক কোন অধিকার না থাকলেও এরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে নাক গলাচ্ছে।
সিএইচটি কমিশন তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে বিভিন্ন সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম সফর করেছেন। এইসব সফরে মূলতঃ স্থায়ী শান্তি স্থাপনের বিপরীতে অশান্তির বীজ বপন করা হয়েছে। অবশ্য তারা সরকারের নিকট বেশ কিছু সুপারিশও তুলে ধরেছে। সরকারের নিকট প্রেরিত এইসব সুপারিশমালায় সিএইচটি কমিশন উল্লেখ করেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীরা অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে। এই দূর্ভোগ লাঘবে বাঙ্গালীদের পার্বত্যাঞ্চলের বাইরে পুনর্বাসন করা গেলে তাদের এই অসহনীয় দুঃখ কষ্টের পরিসমাপ্তি ঘটবে। সেই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর লোকসংখ্যার চাপ হ্রাস পাবে। অবশ্য এই ক্ষেত্রে বাঙ্গালীরা স্বেচ্ছায় পার্বত্য চট্টগ্রাম না ছাড়লে রেশনসহ তাদের সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিতে হবে। সেনা প্রত্যাহারেও তাদের রয়েছে শক্ত অবস্থান। তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার, পার্বত্য অঞ্চল থেকে বাঙ্গালী শূন্য ও সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে এখানকার অঞ্চলের খনিজ সম্পদ গ্রাস করাসহ এই অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজেদের আয়ত্বে এনে এই অঞ্চলকে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করা। যে মিশনে এরা ইতিমধ্যে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। ইতিমধ্যে হাজার হাজার চাক্মা, মারমা, ত্রিপুরা সহ  পাংখো, বোম, লুসাই, চাক, তঞ্চাগ্যা, খুমি, মুরং ও খিয়াংসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-তান্ত্রিক উপজাতীয় জনগোষ্ঠি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে। বান্দরবান জেলায় পাংখো, বোম, লুসাই সম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোক ইতোমধ্যে ধর্মান্তরিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে হাজার হাজার উপজাতি তাদের নিজস্ব ধর্মীয়, সামাজিক কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির অস্তিত্ব বিলিয়ে দিয়ে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করছে। ফলে তাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য বিলীন হয়ে যাচ্ছে নিরবে। অনেক এনজিও উপজাতীয় তরুণদের খ্রিষ্টান ধর্মে এনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য অষ্ট্রেলিয়া, সুইডেন, কোরিয়া, ফ্রান্স, চীন, জাপান, নরওয়ে, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠাচ্ছে। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় একাধিক হাসপাতাল, ক্লিনিক, ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস, লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে  বিভিন্ন বয়সের উঠতি উপজাতীয় ছেলে-মেয়েদেরকে খৃষ্ঠান ধর্ম গ্রহণে আকৃষ্ট করছে।
সূত্রমতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক  এনজিও তৎপরতা চট্টগ্রাম, ফটিকছড়ি, মিরসরাইয়ের উত্তরাংশে (খাগড়াছড়ি সংলগ্ন) পটিয়া, কক্সবাজার, চকরিয়া, ফেনীর পরশুরাম ও কুমিল্লার কিছু অংশে বিস্তৃতি লাভ করেছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য রাজ্যেও খ্রিষ্টান মিশনারীদের কাজ চলছে। এরা বার্মার পার্বত্য সীমান্তবর্তী বিপুল এলাকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এ অঞ্চলকে নিয়ে উপজাতীয় খৃষ্টানদের একচ্ছত্র আধিপত্য তথা খ্রিস্টান রাজ্য প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য,  যে দেশে গেরিলা যুদ্ধ রয়েছে সে দেশের গেরিলা তৎপরতা পরিচালনায় তাদের অস্ত্র, অর্থ সরবরাহ ঘটনাও নতুন নয়। ইতিমধ্যে ভারতের অনেক গেরিলা গোষ্ঠি এই ফাঁদে পড়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে।
পার্বত্য এলাকায় জুম্মল্যান্ড গঠন, ভারতের ৭টি রাজ্যে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা ও বার্মার বিস্তৃর্ণ পার্বত্য সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে এ বিশাল অঞ্চলকে খ্রিস্টান অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র অনেক আগের। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পার্বত্য অঞ্চলে  বেশকিছু এনজিও  খ্রিষ্টান মিশনারী  তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে বলে নানা সময়ে অভিযোগ উঠেছে। এসব  এনজিও  গুলোর বিরুদ্ধে অধিক মুনাফার বিনিময়ে ঋণ কার্যক্রম, উপজাতীয়দেরকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিতকরণ, পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনের গেরিলা তৎপরতায় সহযোগিতা প্রদান, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগার, সাম্প্রদায়িক উস্কানী, উপজাতীয়দের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপপ্রচার, রাজনৈতিক অস্থিশীলতা সৃষ্টিসহ নানা ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর পার্বত্য এলাকায় হু হু করে অনেক এনজিও এসে আস্তানা গেড়েছে। পূর্ণাঙ্গ খ্রিষ্টান অঞ্চল বানাতে চুক্তি বাস্তবায়নের এমন সময়কে এরা মোক্ষম সময় হিসেবে বেছে নিয়ে ষড়যন্ত্রের নানা ডালপালা বিস্তার করছে।
এসব তথ্য পাওয়ার পর সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এনজিওগুলোর নিকট আর্থিক ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ হিসাব ও  এনজিওগুলোর নিয়ন্ত্রণহীন কার্যকলাপ রোধে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। সরকার বা দেশের মানুষ জানতে পারছে না কোথায় কিভাবে এ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। বিলম্বে হলেও সরকারের এই সুমতি উদয় হওয়ায় পাহাড়বাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিদেশী মিশনারীরা সন্তু লারমার কাতারে বসে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজেদের আকাক্ষা বাস্তবায়নে এরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করছে। অন্যদিকে, চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ইউ.এন.ডি.পিসহ বিদেশী এ সমস্ত দাতা সংস্থা ও মিশনারীরা তিন পার্বত্য জেলায় ব্যাপক মোটিভেশন ওয়ার্ক চালাচ্ছে। আমাদের সমস্যা নিয়ে বিদেশীদের অযাচিত হস্তক্ষেপসহ তাদের দেখানো পথ ধরেই যেন চলতে হচ্ছে আমাদের। তাদের ষড়যন্ত্রমূলক  সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে আমাদের উপর। এতকিছুর পরও সরকারের কোন কার্যকর প্রতিবাদ নেই।
 বাংলাদেশ পরাধীন কোন রাষ্ট্র নয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম এই দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশের এক দশমাংশ অঞ্চল। সাংবিধানিক অধিকার মতে, এইখানে যারা বসবাস করছে তারা প্রত্যেকে স্বাধীন দেশের নাগরিক। পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ যেমন ঢাকাসহ সমতলের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করার অধিকার রাখেন ঠিক অনুরূপভাবে সমতল অঞ্চলের মানুষও এখানে বসবাস করার অধিকার রাখেন। দেশের এই অবিচ্ছেদ্য অংশের মাটি ও মানুষের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তাদের মাথা ঘাঁমানো কতটুকু কুটনৈতিক শিষ্ঠাচারের মধ্যে পড়ে তা ভেবে দেখা দরকার  ? তাদের জানা থাকা উচিত, পাহাড়ের কোন পোষ্যপুত্র নেই। এখানে পাহাড়ী-বাঙ্গালী যারাই বসবাস করছে প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে এখানে এসেছে। কেউ এসেছে জুম চাষ করতে, আবার কেউ এসেছে পুনর্বাসিত হবার স্বপ্নে। তবে কেউ আগে- কেউ পরে, তফাৎ শুধু এখানেই। তাদের এ দেশীয় দোসর, এনজিও মার্কা সুশীল সমাজ নামধারী যাদেরকে নিয়ে এখান থেকে বাঙ্গালী খেঁদানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তা এখনি বন্ধ করা উচিত। তা না হলে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ তা সমুচিত জবাব দিতে আগেও ভুল করেনি, ভবিষ্যতেও ভুল করবে না। বীর বাঙ্গালীরা পার্বত্যাঞ্চলে পুনরায় জেগে উঠলে তারা পালিয়ে যাবার পথ খুঁজে পাবেন না। কমিশনের জানা উচিত পার্বত্যাঞ্চলে কাউকে রেখে, কাউকে তাড়িয়ে দিয়ে এখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা হবে অলীক স্বপ্ন মাত্র, যা কখনোই বাস্তবায়ন হতে পারে না।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হবার থেকে সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমারা দাবি করে আসছে এই অঞ্চল থেকে সেনা শাসন ও বাঙ্গালীদেরকে বহিস্কার করতে সরকারের সাথে তাদের অলিখিত চুক্তি হয়েছে। সেই অলিখিত চুক্তির বলেই এদের প্রভূরা বিদেশের মাটিতে বসে চুক্তি বাস্তবায়নের নামে বাঙ্গালীদের ভাগ্য নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালীদের নিয়ে যেতে হবে। সন্তু লারমাদের এই ধরনের দাবীর প্রেক্ষিতে চুক্তি সম্পাদনকারী তৎকালীন সরকার বর্তমান মহাজোট সরকার একাধিকবার বলেছেন, অলিখিত চুক্তি নামে কোন চুক্তি হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালী উচ্ছেদ করার প্রশ্নেই উঠে না। তবে শান্তি চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের প্রশ্নে পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের নানা বিষয় নিয়ে সরকারের অবস্থান এখনও পরিস্কার নয়। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের নামে বাঙ্গালী প্রত্যাহারে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সন্দেহ অবিশ্বাসের যে বাসা বেঁধেছিল তা এখনও বলবৎ রয়েছে। দাতা সংস্থা কিংবা বিদেশী প্রভূ যাই-ই বলিনা কেন তাদের চাপে হোক কিংবা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরর জন্যই হোক সরকার ক্ষমতায় আসার মাত্র ৬ মাসের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে  দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতা বন্ধ এবং স্বায়ত্বশাসনের নামে গেরিলা তৎপরতা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, হত্যা, রাহাজানি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে তড়িঘড়ি করে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করায় এ অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে নতুন করে সন্দেহ  অবিশ্বাসের জন্ম হয়েছিল। অন্যদিকে, চুক্তি বাস্তবায়নের মোক্ষম সেই সময়কে বেছে নিয়ে বিদেশী মিশনারীরা ব্যাপক সোচ্ছার হয়ে উঠেছিল। যদিও  তাদের সেই সব স্বপ্ন পুরণ হয়নি।
সন্তু লারমা ও সিএইচটি কমিশনের উদ্দেশ্যে বলব, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন জনগোষ্ঠিকে পুর্নবাসন, আবার কোন জনগোষ্ঠিকে উচ্ছেদ করে এতদাঞ্চলের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। বরং যে কোন সময়ের তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আরও বেশি বিস্ফোরণ মূখর হয়ে উঠবে। আপনারা যদি মনে করেন,  উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মধ্যে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সকলের নজর ঘুরিয়ে ফায়দা হাসিল করবেন তা ভুলে যান। আপনার মনে থাকা উচিত ১৯০ বৎসর বৃটিশ বিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে মধ্য আগস্টে আপনার দেশ ব্রিটেন এদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। তবে আমরা এখনও নিশ্চিত যে, এদেশের প্রতি বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনাবিষ্কৃত থাকা থাকা প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদসহ এ অঞ্চলের মাটির প্রতি তাদের লোলুপ দৃষ্টি, এদেশবাসীকে শাসন-শোষণ করার নেশা এখনও কাঁটেনি। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালী বিতাড়িত করে উপজাতীয়দেরকে খ্রিস্টান ধর্মের দীক্ষা দিয়ে পার্বত্যঞ্চলকে নিরাপদ খ্রিস্টান অঞ্চল বানানোর চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে বিদেশীরা নানা মিশন নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত জনপদে অবাধে চলাফেরার লাইসেন্স পেয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদেশী ইউ.এন লগো লাগানো গাড়ীতে চড়ে এন্টেনা ও শক্তিশালী ওয়ার্লেস সেট লাগিয়ে এরা নিজেদের মিশন বাস্তবায়নে পার্বত্যাঞ্চলের প্রত্যন্ত দূর্গম জনপদ চষে বেড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে এই অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠি উন্নয়ন, আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে অনেক দূর পিছিয়ে রয়েছে। তাই পিছিয়ে পড়া এই সব জনগোষ্ঠির আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের কথা বলে অর্থ্যাৎ আমাদের মাথা বিক্রি করে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আনা হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের নামে তাদের মিশন বাস্তবায়নে এই সব অর্থ ব্যয় হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুনেছি, আগামী বছর ইউএনডিপির দ্বিতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন কাজ শেষ হবে। কি কাজ করেছে, কোথায় করেছে, কার জন্য করেছে তাদের কিছুই জানে না পার্বত্যবাসী। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনও এদের মিশন সম্পর্কে তেমন কোন খোঁজ খবর রাখেন না। দেশী-বিদেশী এসব  এনজিওগুলোর কাজের মনিটরিং করার দায়িত্ব পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসন মাস শেষে এনজিওদের নিয়ে সমন্বয় সভা করলেও তাদের কর্মকা- নিয়ে তেমন কোন বিতর্কে জড়াতে চান না। তবে ইউএনডিপিসহ দাতা সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে আমাদের উন্নযনে যেমন বাঁধা সৃষ্টি করছে, একইভাবে তারা যে উন্নয়নের কথা বলছে তা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। অনেকের মতে, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্যদেরকে  কোটি কোটি টাকার বিলাসবহুল বিদেশী গাড়ী উপহার দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আমাদের মাথা বিক্রি করে যেসব টাকা বিদেশ থেকে আনা হয়েছে  সেই টাকায় কাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, তা পাহাড়ের মানুষ জানে না। তবে, এটা নিশ্চিত যে, বিদেশী এবং তাদের এ দেশীয় দোসরদের উন্নয়ন ছাড়াও আর কারও উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে হয় না। এরা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না, পুনর্বাসিত বাঙ্গালীদের কল্যাণে দীর্ঘ বা স্বল্প মেয়াদী কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বা তাদের কল্যাণে কোন  টাকা ব্যয় করেছে। তবে মাঝে মধ্যে উপজাতীয় অধ্যূষিত এলাকায় স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ কয়েকটি মৌলিক ইস্যুতে কাজ করতে দেখেছি।  তাতেও পাহাড়ীদের ভাগ্যের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি, জয় করতে পারেনি দারিদ্রতাকে। যে পরিমাণ টাকা বিদেশীরা এখানে ব্যয় করেছে বলে দাবী করছে তার শত ভাগের একভাগও যদি সঠিকভাবে কাজে লাগতো তাহলে পার্বতাঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠিকে চরম দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করতে হতো না। মূলত বিদেশীরা তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে খ্রিস্টান অঞ্চল বানানোর পিছনে আনীত অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে।
এই অঞ্চলে বাঙ্গালীসহ বিভিন্ন উপজাতীয় সম্প্রদায়গুলো কিভাবে বসতি স্থাপন করেছে তা কারও অজানা নয়। ১৯৮০-৮১ সালে তৎকালীন সরকার সমতল জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নদীভাঙ্গা ভূমিহীন, দিন মজুর, অসহায় দুঃস্থ পরিবারগুলোকে এনে সরকারী  খাস ভূমিতে যেখানে হিংস্র জীবজন্তু বসবাস করত সেখানে পুনর্বাসন করা হয়। এই পুনর্বাসনের কয়েক বছর যেতে না যেতেই শান্তিবাহিনী নামক উপজাতীয় গেরিলারা  সরকারের উপর প্রতিশোধ নিতে পুর্নবাসিত বাঙ্গালীদের উপর চালায় অত্যাচারের ষ্টীম রোলার। কোলের শিশু থেকে শত বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত রেহাই পাইনি তাদের ব্রাশ ফায়ার থেকে। অনেককে দেয়া হয়েছে জীবন্ত কবর, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে করা হয়েছে ধর্ষণ। তাদের অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা এতই ভয়াবহ ছিল যে, পাকিস্তানীদের শোষনকেও হার মানিয়েছে। ফলে সরকার বাধ্য হয় বাঙ্গালীদেকে স্ব-স্ব বসতভিটা, বাগান বাগিচা থেকে তুলে এনে গুচ্ছগ্রাম নামক বন্দী শিবিরে আটক করতে। সেইখানেও হামলা থামেনি। চুতর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি করে ছোট্ট গুচ্ছগ্রাম নামক বন্দী কুটিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুরু হয় গুচ্ছগ্রামবাসীদের জীবন-জীবিকা। মাস শেষে ৮৫  কেজি সরকারি খয়রাতি রেশন ব্যতীত গত ৩০ বছর যাবত ৮৬টি গুচ্ছগ্রামে ২৬,২২০ পরিবার (বর্তমানে কয়েকগুণ) প্রায় লক্ষাধিক বাংলা ভাষাভাষি লোকের  ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। তাদেরকে পুনর্বাসনে নেয়া হয়নি সরকারী কোন উদ্যোগ। তাদের জন্য ব্যয় হয় না দেশি বিদেশী কোন অর্থ। পূর্ন নাগরিক সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত এসব গুচ্ছগ্রামবাসীরা প্রত্যেক সরকারের সময়ে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তাদের পুনর্বাসনের স্বপ্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর বিন্দুমাত্র প্রতিফলন নেই। তাই বঞ্চিত অসহায় এসব গুচ্ছগ্রামবাসীরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে, দারিদ্রতার চরম কষাঘাতে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বেড়ে উঠছে। এদের হারাবার আর কিছুই নেই, আর যাদের হারাবার কিছুই থাকে না তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আর যাই হোক টিকে থাকা যায় না। তাই সিএইচটিসকমিশনসহ বিদেশী দাতা সংস্থাগুলোর  উদ্দেশ্যে বলব, সন্তু লারমাদের সুরে সুর না তুলে যে মানব সেবার কথা বলে পার্বত্য চট্টগ্রামে আস্তানা গেড়েছেন সেই কাজে মনোনিবেশ করুন।  এতে আমার আপনার তথা পার্বত্যবাসীর মঙ্গল হবে।
http://parbattanews.com/?p=131
-সুকুমার বড়ুয়া
 লেখক: সংবাদকর্মী,খাগড়াছড়ি।

বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৩

একটি কমলা ফিতার গল্প !


যে কারনে ২০০৯ সালে বিডিআর ধংস করলো ভারত
*****************************************
আপনাদের কারো মনে কি এখনো বিন্দু মাত্র সন্দেহ আছে যে পিলখানার সেই নৃশংস হত্যাকান্ডে ভারতীয় মদদ ছিল কিনা, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের প্রত্যক্ষ হাত ছিল কিনা। তাহলে এই লেখাটি সম্পূর্ন পড়ুন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদের শনাক্ত করা কোনো দুরূহ ব্যাপার ছিল না। বাংলাদেশ ও এর সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ কে এবং কারা ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের অস্তিত্ববিরোধী, এ হত্যাকান্ডের বেনিফিশিয়ারি কে, কারা এ ঘটনার সাথে সাথেই অতিমাত্রায় তৎপরতা দেখিয়েছে ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওই অপশক্তিকে শনাক্তকরণ দুরূহ নয়।

ক্ষমতাসীন সরকারের বক্তব্য হলো- সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিরোধী দলের অভিযোগ- প্রতিবেশী দেশের মিত্রদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে, গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করতে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ভারতীয় সৈন্য পাঠিয়ে এ দেশকে ছায়ারাষ্ট্রে পরিণত করতে এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। অন্যদিকে ভারত এ ঘটনার পরপরই আইএসআইকে দায়ী করেছে। সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকারের কিছু মন্ত্রী এবং ভারতীয় সাহায্যপুষ্ট সংবাদমাধ্যম ভারতের অভিযোগের অনুকূলে তথ্য প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
কিছু প্রশ্ন যার জবাব আজও পাওয়া যায় নিঃ
(১) কেন এবং কার নির্দেশে ২০ ঘণ্টার জন্য পিলখানা বিডিআর ক্যাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হলো? আর সেই ঘনকৃষ্ণ অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই দুষ্কৃতকারীরা সমস্ত অপকর্ম করলো এবং পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলো?
(২) শেখ হাসিনার ভাষণের সাথে সাথেই সমগ্র পিলখানা বিডিআর ক্যাম্প কেন কর্ডন করা হলো না? প্রায় ১০ হাজার বিডিআর সদস্যকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হলো কেন?
(৩) ছাই রঙের অস্ত্র বোঝাই ট্রাকের কথা বলা হয়েছে। সেটি কার? কিভাবে সেটি ভেতরে ঢুকলো?
(৪) ৫ নং গেটকে সম্পূর্ণ অরক্ষেত রাখা হয়েছিল কেন?
(৫) হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার জন্যই বিডিআরে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে- ভারতের এই আশংকার ভিত্তি কি?
(৬) শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত হতে পারে, এমন আশংকায় আসামের একটি বিমান ঘাঁটিতে মুহূর্তের নোটিশে উড্ডয়নের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো কেন?
(৭) ডি এ ডি তৌহিদের নেতৃত্বে যে ১৪ জন বিডিআর সদস্য শেখ হাসিনার সাথে দেনদরবার করতে গিয়েছিলো, তাদের মধ্যে অবশিষ্ট ১২ জন গেলো কোথায়?এদের নামে থানায় এজাহার করা হয়নি কেন? এখন তারা কোথায়?
(৮) সম্মেলন শুরুর ৩ দিন আগে বিডিআর এর অস্ত্রাগার থেকে ৫টা অস্ত্র খোয়া যায়। ভিভিআইপি প্রোটোকল অনুযায়ী কোন অবস্থাতেই সেখানে (অস্ত্র খোয়া যাওয়া স্থানে) ভিভিআইপি কে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেল কিভাবে?
(৯) বলা হয়েছে বিডিআর জওয়ানরা অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করেছে। কিন্তু ভিভিআইপি প্রোটোকল অনুযায়ী যখন কোন ভিভিআইপি এইসব জায়গায় যায় তখন শুধুমাত্র তার ব্যাক্তিগত গার্ডদের কাছে ফায়ার করার মত অস্ত্র থাকে, বাকি অস্ত্রের disable করে রাখা হয়। তাহলে বিডিআর এর অস্ত্রাগারে ফায়ার করার মত অস্ত্র আসল কোথা থেকে?
(১০) ভারতের NDTV 24 -এ সকাল ১০:৪৫ এ স্ক্রলে এবং পরে সংবাদে বলা হয়েছে পিলখানায় মেজর জেনারেল শাকিল সহ ৫০ এর বেশি অফিসার মারা গেছেন। অথচ আমরা শাকিলের মারা যাবার খবর পেয়েছি তার পরের দিন, আর তখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি অফিসার মারা যায়নি। ভারতীয়রা এটা আগে জানলো কিভাবে?


তবে এর কিছু প্রশ্নের জবাব আমরা ধীরে ধীরে পেতে শুরু করেছি।
এবার আরও মনযোগ দিন।
একটি গেরুয়া রঙের ফিতার গল্প !
***************************************

আমাদের বিডিআররা কেন গেরুয়া রঙের ফিতা মাথায় লাগিয়ে আছে যা কিনা বাংলাদেশ বিরোধী একটি সশস্ত্র গ্রুপের চিহ্ন বহন করে,কেউ জবাব দেবেন কি?
এতে সরকারের কিছু করার ছিল না! তাহলে তারা কি সরকারের সাহায্য ছাড়াই মিশন শেষ করে আবার নিরাপদে ফিরে গেল?
এখন যেমন তত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার বিভিন্ন আওয়ামী নেতাদের দূর্নীতির স্বীকারোক্তি বেরিয়ে আসছে, তেমনি এদের আরেকবার থেরাপী দিলেই এই মেধাবী অফিসারদের হত্যার নেপথ্যের সব সংবাদ বেরিয়ে আসবে।অবশ্য বাংলাদেশে অবস্থা বেগতিক দেখলে এরা সেই ভারতেই পালিয়ে যায়।

শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেকেই আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষোভ ছিল শেখ হাসিনার, কিন্তু তাই বলে ভারতের একটি ট্রেইন্ড জঙ্গী গ্রুপের সহায়তায় এভাবে নৃশংস হত্যাকান্ড চালানো কোন ভাবেই মানতে পারি না।
(Thanks to Dasotto Shekol)

Youtube আবার বন্ধ করেছে,আমাদের ক্যান্টনমেন্টগুলাতে হাসিনা বুবু ইন্টারনেট কানেকশন কেটে দিতে পারেন এই লেখা দেখার পর !
শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজ দেশের স্বার্থ বিসর্জনকারী ভারত দালালদের মুখোশ উন্মোচন করে দিন। নারকীয় এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করুন।



 এই ফটো স্ট্যাটাসটির নাম এভাবেই বলতে চাই।

ছবিতে প্রথম ৯ টি ছবির সাথে শেষ একটি ছবির কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায় কিনা দেখুন !
প্রথম ৯ টি ছবি ভারতীয় বজরং দলের ।
ওদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বলছে - ২০০১ এর ১৩ ই জুন থেকে ওরা আর্মস ট্রেনিং নিচ্ছে।
http://www.hinduunity.org/bajrangdal.html

সপ্তম যে ছবিটি দেখছেন সেটি অযোধ্যার , বাচ্চা ছেলেকে অস্ত্র প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে।
৮ম ছবিটি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত আরেকটি ছবি - অস্ত্র সামনে রেখে কোন একটা পুজা করছে।
http://www.nytimes.com/imagepages/2008/11/12/world/12india_CA1.inline.ready.html

৯ম ছবিটি ওদের অস্ত্র প্রশিক্ষনের।

এরা বেশ গত মাসের ৬ তারিখে , মানে ৬ ই মার্চ ২০১৩ তে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমনের কারনে বাংলাদেশ বিরোধী মিছিল করছে -
http://www.in.com/bajrang-dal/photogallery-30579.html?imid=0dMmayU8lq2HN

এর আগে পদুয়ায় বিডিআরের কাছে ২০০ থেকে মতান্তরে ৩০০ জন বি এস এফ কচুকাঁটা হওয়ার পর এরা দিল্লিতে বাংলাদেশ দুতাবাস আক্রমন করতে চেয়েছিলো।

শেষের ১০ নাম্বার ছবিটা ২০০৯ এর ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া বিডিআর বিদ্রোহের।
হাতা ভাজ করা , গায়ে ঢিলেঢালা , আশে পাশের আরও কয়েকজনকে দেখুন।
কি মনে হয় ?

আমাদের ক্যান্টনমেন্টগুলাতে হাসিনা বুবু ইন্টারনেট কানেকশন কেটে দিতে পারেন এই স্ট্যাটাসটা দেখার পর !


https://www.facebook.com/dasotto.dasotto/posts/490250577697228

শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৩


‘শেখ মুজিব : দ্য নিউ মোগল’ অতি গোপনীয় নথি ফাঁস করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়েবসাইট উইকিলিকস এবার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকালের নানা দিক। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এসব গোপনীয় নথিতে উঠে এসেছে ১৯৭৩-৭৫ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির চালচিত্র। গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশে কূটনৈতিক সম্পর্ক। এতে স্থান পেয়েছে সে সময়ের ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের নানা দিক। কূটনৈতিক এসব রিপোর্টে শেখ মুজিবের শাসনকালের মূল্যায়ন করা হয়েছে। দুর্লভ তথ্য রয়েছে বাংলাদেশের খাদ্যসঙ্কট ও দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে। বর্ণনা আছে অর্থনৈতিক সঙ্কট, চোরাচালান, দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে। গোপন এসব নথিতে রয়েছে সব দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ, দেশে জরুরি অবস্থা জারিসহ সেই সময়কার প্রতিটি ঘটনারই নির্মোহ বিশ্লেষণ। নথিতে ভারতের ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ, ঢাকায় জুলফিকার আলী ভুট্টোকে বীরোচিত সংবর্ধনা ও সামরিক অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবের মৃত্যু সম্পর্কেও রয়েছে বহু অজানা তথ্য। উইকিলিকসের ফাঁস করা নথি আগামীকাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ছাপা হবে আমার দেশ-এ।

 প্রয়াত শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন কালের কাহিনী -------
শেখ হাসিনা সরকার পত্রিকা নিষিদ্ধ করে দিবে তাই , হয়ত বাংলাদেশের কোনো পত্রিকায় প্রকাশিত হবে না -- তবে নিচের লিংক গুলো হলো উইকিলিকসের নিজের অনলাইন লিংক
===================================
1. CONSTITUTION IS CHANGED: MUJIB NOW PRESIDENT: https://www.wikileaks.org/plusd/cables/1975DACCA00457_b.html
2. NEW COUNCIL OF MINISTERS EQUALS OLD CABINET: https://www.wikileaks.org/plusd/cables/1975DACCA00489_b.html
3. SHEIKH MUJIB: THE NEW MUGHAL: https://www.wikileaks.org/plusd/cables/1975DACCA00666_b.html
4. CHAIRMAN MUJIB: THE NATIONAL PARTY IS ANNOUNCED: https://www.wikileaks.org/plusd/cables/1975DACCA01000_b.html
5. MORE MEMBERS FOR THE NEW PARTY: https://www.wikileaks.org/plusd/cables/1975DACCA01022_b.html
6. EK NETA, EK DESH: MUJIB GOES TO THE PEOPLE: https://www.wikileaks.org/plusd/cables/1975DACCA01241_b.html
7. COMING ATTRACTION FOR JUNE: BAKSAL LEADERSHIP: https://www.wikileaks.org/plusd/cables/1975DACCA02753_b.html

উপজাতিরা আদিবাসী নয় কেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্?


আসলেই কি নিজভূমে পরবাসী হয়ে গেলাম?
একটা উপজাতি নিয়ে কথা বললে আমাকে আমার জাত তুলে গালি দিয়ে যাবে আর আমাকে তা হজম করতে হবে? কিছু কিছু উপজাতি বালকরা তাদের “উপজাতি” বললে সম্মান খর্ব হয় বলে দাবি করে। তাদের দাবি তাদেরআদিবাসী বলতে হবে। এ সম্পর্কে চাকমা রাজা দেবাশিষ রায়ের কথাটিনা উল্লেখ করলেই নয়, তিনি দাবি তোলেন,
“সাংবিধানিকভাবে 'আদিবাসী' স্বীকৃতি দিলে মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, প্রান্তিক ও অনগ্রসরএই ১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ তাদের প্রান্তিক অবস্থান জানানোর একটি আইনি ভিত্তি পাবে। এই মর্যাদা তাদের কোনো ‘বিশেষ’ সুবিধা দেবে না।”
কিছুটা হাস্যকর মনে হতে পারে সবার কাছে। কারণ তার মতে আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে প্রান্তিক ও অনগ্রসর এই ১ শতাংশউপজাতি একটি আইনী ভিত্তি বৈ আর কোনো ‘বিশেষ’ সুবিধা পাবে না। তাহলে বাবা ‘উপজাতি’ নামটার সাথেসমস্যা কোথায়? উপজাতি বললে কি তারা কোনো আইনি ভিত্তি পাচ্ছে না? কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না?
দেবাশিষ রায় হয়ত ভুলে গেছেন এইসব সস্তা টেকনিক সবার সাথে চলে না। আপাতত সেসব প্রসঙ্গে নাযাই। আসুন আদিবাসী আর উপজাতি শব্দ দু’টির বিশ্লেষণ করি। বাংলা একাডেমী অভিধান অনুসারে, ‘উপজাতি’ শব্দের অর্থ হলো, “[বিশেষ্য পদ] সংস্কৃত ছন্দোবিশেষ, প্রধান জাতির অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্রতর জাতি বা সম্প্রদায়; পাহাড়িয়া বা বন্য জাতি।” সহজ অর্থে অনেকেই আবার “ক্ষুদ্র জাতি, যারা মূল জাতি থেকে আলাদা”। আর আদিবাসী শব্দেরঅর্থ “একটি অঞ্চলের আদিম অধিবাসী যারা ঐ অঞ্চলের মূল সংস্কৃতির ধারক”।
বাংলাদেশে পাহাড়ী জনগোষ্ঠি তথা উপজাতি রয়েছে ৪০ থেকে ৪৫টির মতো। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারো, মণিপুরী, মুরং, খাসি, হাজং,ওঁরাও, রাজবংশী। যাদের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, চাক, মুরং ইত্যাদি প্রায় ১৩ টি উপজাতির বাস আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে । এদের আগমন “সিনলুনও চীন” ( লুসাই, পাংখু, মোরো ও খুমি গোত্র) , ভারতের “ত্রিপুরা রাজ্য” (ত্রিপুরা, মুরং, রিয়ং), বার্মা বা মায়ানমারের “আরাকান” (চাকমা, মগ ইত্যাদি গোত্র ) হতে।এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং সবচাইতে বড় গোষ্ঠী হলো ‘চাকমা’ যারা মূলত মায়ানমারের অধিবাসী; এরা ১৫৯৩ সালে আরাকান রাজার সাথে যু্দ্ধে পরাজিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে আবাস গড়ে তুলেছে।
নৃবিজ্ঞানী, ড. এবনে গোলাম সামাদ, “পার্বত্য তিন জেলা নিয়েষড়যন্ত্র রুখোঃ দেশবাসী সচেতন হও”, শীর্ষক কলামে বলেছেন,
“এখানে এমন অনেক উপজাতির বাস, যারা ইংরেজ আমলের আগে ছিল না। ইংরেজ আমলে প্রধানত আরাকান থেকেএখানে উপনিবিষ্ট হয়েছে। এদিক থেকে বিচার করলে এখানে তাদের বলতে হয় পরদেশি। ওই অঞ্চলের ভুমিজ সন্তান তারা নয়। অনেকে নাজেনে তাদের মনে করেন আদিবাসী। চাকমা, মারমা প্রভৃতিকে আদিবাসীহিসেবে চিহ্নিত করা খুবই বিভ্রান্তিকর।”
বছরখানেক আগে বোমাং রাজা স্পষ্টই বলেছেন যে, তারা মোটেও আদিবাসী নন। তারা এ অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেছেন মাত্রকয়েকশত বছর আগে।
এবার আসুন কেন এসব উপজাতিকে আদিবাসী বলা যাবে না, আর বললে সমস্য কী?
২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ একটি রেজুলেশন পাস করে যার নম্বর ৬১/২৯৫। মোট ৪৬ অনুচ্ছেদের ঐ রেজুলেশানে আদিবাসী নীতি সম্পর্কে পাক্কা দু’টি অনুচ্ছেদরয়েছে। রেজুলেশানের চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে
“আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ বা স্থানীয় বিষয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসন বা নিজ সরকার (self government) পরিচালনার অধিকার থাকবে ।”
পঞ্চম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে
“আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের আইনী ব্যবস্থাসহ স্বতন্ত্র রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজস্ব অবকাঠামো তৈরি এবং উন্নয়নের অধিকার সংরক্ষণ করে ।”
এতক্ষনে নিশ্চই আমার সুশীল ভাইগন বুঝতে পেরেছেন, কোনমতে যদি তারা আদিবাসী নামটা কাগজে-কলমে পেয়ে যান তাহলে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে যে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে না থেকে একটি পৃথক সরকার ও রাষ্ট্র গঠিত হবে।
শত অপকর্ম সত্ত্বেও এবিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো যায়। আবুল-মুহিতদের এই প্রধানমন্ত্রী আবেগের বশে পড়ে বাঙালিদের একদম ভুলে যান নি। জাতিসঙ্ঘের কাছে সই-সাবুদ করে দেশ বেচে আসেন নি। তিনি আইএলও সনদ ১৬৯ নামক সনদে অনুস্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছেন। সনদের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তথাকথিত আদিবাসীদের ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহৃত ভূমির মালিকানা বা দখলদারিত্বের অধিকার নিশ্চিত করবে সরকার। সনদের ১৩ অনুচ্ছেদে এই সেটেলার আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের সাথে সম্পৃক্ত ভূমি বা অঞ্চলের প্রতিসরকারকে শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জাতিসঙ্ঘের আদিবাসী ফোরাম বাংলাদেশের উপর অনুস্বাক্ষর করার চাপ সৃষ্টি করলেও বিরত থেকেছে বাংলাদেশ সরকার।
তাই বলে পিছিয়ে নেই চাকমা নেতৃত্ত্বাধীন পাহাড়ী জনগোষ্ঠী, সন্তু লারমার নতুন ফন্দিমতো ধীরে ধীরে খ্রিষ্টানাইজেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে পাহাড়ী অঞ্চলের উপজাতিদের মধ্যে। লারমা বাবুর নতুন এই চাল অনুযায়ী যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখানো যায় খ্রিষ্টান আদিবাসী সম্প্রদায় পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বাধীন ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। এই প্রক্রিয়া অনেক বছর আগের শুরু হয়ে গেছে।

আরব বণিকদের মাধ্যমে মিয়ানমারের জনগণ ১২শ’ বছর আগে ইসলাম ধর্মের সংস্পর্শে আসে। গত সহস্রাব্দের প্রথমার্ধে আরাকানের বৌদ্ধ রাজা বিদ্রোহীদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হলে তার অনুরোধে গৌড়ের সুলতান কয়েক দফায় সেখানে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
১৪৩২ সালে গৌড়ের সেনাপতি সিন্দি খান আরাকানের প্রাচীন রাজধানী ম্রোহংয়ে মসজিদ নির্মাণ করেন। ওই সময় থেকেই বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং স্বাধীন আরাকান রাজ্যের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আরাকানে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং রাজসভায় বাংলাভাষা বিশেষ স্থান লাভ করে। মহাকবি আলাওল, শাহ ছগির, মাগন ঠাকুরের মতো মধ্যযুগের বিখ্যাত কবিরা আরাকান রাজ্যের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। আরাকান রাজারা বৌদ্ধ ধর্ম চর্চা করলেও মুসলমান পোশাকি নাম গ্রহণ করেন।
অর্থাত্ মিয়ানমারের আরাকান অংশে ইসলাম ধর্ম এবং বাংলা ভাষার বিস্তার লাভ ৬শ’ বছরেরও অধিককাল আগের ঘটনা। সে তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের আগমন সেদিন ঘটেছে। অথচ মিয়ানমারে ওইসব মুসলমানের নাগরিকত্ব নিয়ে এই শতাব্দীতে এসে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এদিকে সীমান্তের এ পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মদতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী একদল চিহ্নিত দালাল শ্রেণীর নাগরিক চাকমা জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী সাব্যস্ত করে এদেশের প্রকৃত ভূমিপুত্রদের অধিকার হরণের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চললেও তথাকথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় (International Community) নিশ্চুপ রয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অধিক সংখ্যায় উদ্বাস্তু গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের ওপর অন্যায় চাপ সৃষ্টি করে তাদের দায়িত্ব সেরেছে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারি মহল নিরাশ্রয় রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের প্রতি যে চরম অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তার নিন্দা জানালেও এ কথা মানতে হবে, মিয়ানমারের মুসলমান শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিলেই মূল সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
কয়েক লাখ রোহিঙ্গা দুই যুগেরও অধিককাল টেকনাফ অঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র। অর্থনৈতিকভাবে আমরা এখনও একটি পশ্চাদপদ দেশের নাগরিক। যৌক্তিক কারণেই আমাদের পক্ষে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কোনো অতিরিক্ত জনগোষ্ঠীর ভার বহন করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর বিষয়ে সচরাচর যে উত্কণ্ঠা, উত্সাহ দেখিয়ে থাকে তার কিয়দাংশ রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রদর্শন করলে সমস্যাটির দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে সহায়ক হতো। এসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর আদিবাসী নামকরণে বাংলাদেশকে অব্যাহত অন্যায় চাপ দিলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের নীরবতা বিস্ময়কর।
এমন ধারণা পোষণ করা অমূলক হবে না, মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী যদি মুসলমান ধর্মাবলম্বী হয়ে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা ভিন্নধর্মের হতো তাহলে দ্বিমুখী চরিত্রের (Double Standard) পশ্চিমাদের সুর পাল্টে যেত। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা কিছুদিন আগে মিয়ানমার সফরে এসে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে অন্তত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ার ফলে মিয়ানমার সরকার সাময়িকভাবে হলেও মুসলমান নির্যাতনে বিরতি দিয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত সংগঠন ওআইসি (OIC) তার দায়িত্ব পালনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, জতিগত শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার জন্য মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে একটা নিন্দা প্রস্তাবও এ নির্বিষ সংগঠনটি আনতে পারেনি। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন চললেও ওআইসির যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে অমার্জনীয় ব্যর্থতা সংগঠনটির কার্যকারিতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
লেখাটি বিস্তারিত পড়তে এই লিংটি দেখুন >>>> http://amarchintaa.com/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95-174/ (আমার দেশ, ২৭/১২/২০১২)


১০ মার্চ ২০০৮ দৈনিক সমকালের রিপোর্টে বলা হয়,
“পাবর্ত্য চট্টগ্রামে শত শত উপজাতীয় লোক ধর্মান্তরিত হচ্ছে। পাংখোয়া, লুসাই ও বোমাংসহ আরো অনেক উপজাতীয় মানুষের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে। কিছুসংখ্যক চাকমাও আদি ধর্ম ছেড়ে গ্রহণ করেছে খ্রিষ্ট্রধর্ম। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধে বাঙালি-পাহাড়িদের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্তিতিতে অস্থির রয়েছে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম। তার ওপর গহীন অরণ্যে পাহাড়িদের মধ্যে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন উপজাতি নেতারা। কারণ এতে পাহাড়িদের মধ্যেই সম্প্রীতিতে ফাটল ধরছে।
লেখাটি বিস্তারিত পড়তে এই লিংটি দেখুন >>>> http://www.nagorikblog.com/node/9902 (অর্ধতত্‍সম এর বাংলা ব্লগ)

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও বাংলাদেশঃ বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রনীতি মানিনা মানবোনা ।।

পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সিনিয়র সহকারী সচিব ফারহানা হায়াতকে দিয়ে গত ১১ অক্টোবর, ২০১২ তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের উপজাতীয়দের ৩,৭০০ পরিবারকে উঁচুভুমি বন্দোবস্তী দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৩০ পরিবার দেখানো হচ্ছে ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী এবং অন্যান্যরা হচ্ছে রাবার প¬ান্টার হিসেবে।
বাস্তবতা হচ্ছে ১২,২২২ পরিবারকে সরকার ২২ দফা প্যাকেজের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরিয়ে এনেছে এবং পুনর্বাসনও করেছে। আর রাবার প¬ান্টার হিসেবে যাদেরকে বন্দোবস্তী দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তারা সবাই প্রভাবশালী পাহাড়ি এবং যেসব জায়গা দেয়ার পরিকল্পনা চলছে তা ১৯৮১-১৯৮২ সালে বাঙ্গালীদেরকে বরাদ্ধ দেওয়া জায়গা। যখন নব বিক্রমের এক প্রেতাত্বা মন্ত্রনালয়ে বসে এসব করছে তখন আরেক প্রেতাত্বা খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম খাগড়াছড়িতে বসে ইতিমধ্যে বেশ কিছু বন্দোবস্তী ফাইল স্বাক্ষর করে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জেলা পরিষদে পাঠিয়েছেন।
সরকারের নিকট হতে বন্দোবস্তী প্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গ ছাড়াও বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের আরো ২০ হাজারের অধিক বন্দোবস্তী মামলা তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকদের কার্যালয়ে ১৯৮৩-৮৪ সাল থেকে পড়ে আছে। তাদের ভুমি মামলাগুলো আটকে রেখে মানবতার শত্র“-ধর্মের কলঙ্ক খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ করিম পাহাড়িদের মামলাগুলো ছেড়ে দিচ্ছে।
পাহাড়ে বাঙ্গালীদের সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা আর বঞ্চনার শিকার হতে চাই না। অধিকারকখনও কোন সরকার কাউকে এমনিতেই দেয় না।
অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়।পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পার্বত্য বাঙালীদের নিয়ে যে খেলা শুরু করেছেসেই খেলায় এ সচিবের পরাজয় ঘটবে। ভূমি জরীপ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে এক মুঠো মাটি বন্দোবস্তী দেওয়া হলে পার্বত্যবাসীদের নিয়ে ভবিষ্যতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে

#

কাপ্তাই লেকে নতুন যড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি এবং নিঃসন্দেহে এটি একটি ষড়যন্ত্র আমার FBবন্ধু গাজী সাহেব ষড়যন্ত্রের বিষয়ে একটু আচ করে লিখলেন(এখনো শুকানো হয়নি কাপ্তাইহ্রদের পানি, কৃষকদের ভাগ্য আকাশে দুর্ভিক্ষের অশনী সংকেতঃ নিয়তির কাছে নিজেদের সমর্পন করে চরম হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে দিনাতিপাত করছেন কাপ্তাই হ্রদের বাঙালি কৃষকরা ।প্রতিবছর এই সময়ে সবুজ ধান আর নানানজাতের মৌসুমী ফসলে ছেয়ে থাকতো মাঠ) এবিষয়ে JSS এর প্রতিদ্বন্ধি UPDF ও আশংকা প্রকাশ করেছে এবং তারাও পানি সম্পর্কে যড়যন্ত্র হিবেসে উল্লেখ করেছেন সুতরাং আন্দোলন জরুরী নইলে কৃষক মরবে।কাপ্তাই লেকের দৃশ্যশুধু সুন্দর আর শুধু মিঠা মাছের অভয়রান্য ই নয় । মূললেকের উপরে রয়েছে প্রচুর কৃষিজমি অন্যন্য বছর ১৫ জানুয়ারীর মধ্যেই লেকসংলগ্ন নালা গুলী শুকিয়ে কৃষি জমিতে পরিনত হয় এবং এই সময়ের মধ্যেই উপজাতি ও বাঙগালী কৃষকগন ধান রোপন করে বাতর ঘুরে ঘুরে দেখতেন ।দুঃখের বিষয়হল সে সব ক্ষেতি ভূমিতে আজো অথৈপানি ।কয়েকজনের কাছে শুনলাম লংগদু উপজেলার মাইনী বাজারে ডোলপিটিয়ে ধানের চারা (জালা) ফালতে নিষেধ করা হয়েছে কেউ কেউ বলছে UNDPলিজ নিয়েছে যারা দেশ ওদেশের মানুষ নিয়ে ভাবেন তাদের কাছে আবেদন রইল বিষয়টা দেখার জন্য পানি কেন কমছেনা

অস্থির পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই লেখাটির লিংক >>> http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=139613
#

দৃষ্টি আকর্ষনঃ
মায়ানমার থেকে বিপুল পরিমান অস্র বাংলাদেশে প্রাচার কালে ভারতের মিজোরাম রাজ্য সিআইডির হাতে আটক হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন রাষ্ট্রদ্রোহী উপজাতি সন্ত্রাসী । উল্লেখ্য যে তারা সকলেই সরকারের দুধ কলায় পোষা সন্তু লারমার জেএস এস এর কর্মী । বিপুল পরিমান এই অস্র ভান্ডার পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্র গোষ্ঠিগুলোর কাছে পৌছাতে চেয়েছিল । নিউজটি শেয়ার করে আমাদের দেশের ছাপোষা বুদ্ধিজীবি গুলোকে জানিয়ে দিন ।খবরের লিংক পড়ুন http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-09/news/335183
#
গত ১৩ মার্চ আটককৃত ৪ বাংলাদেশীকে আজোও ছাড়েনি নাসাকা, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ইন্টারোগেশন সেলে>>>

বান্দরবানের ঘুনধুম সীমান্তে নাসাকার হাতে আটক তিন পুলিশসহ চার বাংলাদেশীকে নাসাকার ক্যাম্পে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
খবরের লিংক http://www.bartalive24.com/bandarban-news/7428-2013-03-22-05-49-20
#

পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎপর ইউএনডিপিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অধিকাংশ পদে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের নিযুক্তি দেয়া হয়েছে ও হচ্ছে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, মূলভূমি বা দেশ থেকেবিচ্ছিন্ন করার আগে পূর্বতিমুর ও দণি সুদানেও একইভাবে মুসলমানদের খ্রিস্টান বানানো হয়েছিল।পার্বত্য চট্টগ্রামেও পাশ্চাত্যের কয়েকটি খ্রিস্টানপ্রধান দেশ এবং তাদের অর্থে পরিচালিত এনজিও দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে মানুষকে খ্রিস্টান বানাচ্ছে। পার্বত্য সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্রআসছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে। এভাবে সন্ত্রাসীরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, আর কিছুদিন পর তাদের নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়েপড়বে। এ সম্ভাবনার ভিত্তিতেই সেনা সদর বলেছে,দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন সুযোগ নিতে না পারে , বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা ঘন ঘন পার্বত্য চট্টগ্রাম সফর করছেন। সাংবাদিকসহ বিদেশিলোকজনের আনাগোনা অনেক বেড়ে চলেছে। সেখানে তারা উস্কানিও দিচ্ছে। সব দেখে-শুনে তথ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে বিদেশিদের নিশ্চয়ই কোনো গোপন ‘এজেন্ডা’ রয়েছে। লেখাটি বিস্তারিত পড়তে নিচের লিংকটি অনুসরন করুন >>http://www.weeklysonarbangla.net/news_details.php?newsid=1108
#
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/12/27/179955http://amardeshonline.com/pages/details/2012/12/27/179955www.amardeshonline.com#পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্মম নির্যাতনের শিকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মুসলমানরা ঢাকায় এসে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েও রেহাই পাচ্ছেন না। পুলিশ ও র্যাবে নিয়োজিত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের পাশাপাশি থানায় সোপর্দ করছে। পার্বত্যাঞ্চলের খ্রিস্টান মিশনারিদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্সে হানা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে থাকা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওইসব সদস্য। সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি রাজধানীর বাসাবো এলাকার একটি মাদরাসায় হানা দিয়ে পুলিশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৫ মুসলিম এবং তাদের ১১ সন্তানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। একই মাদরাসায় অধ্যয়নরত আরও ৫ জনকেও আটক করে তেজগাঁও থানা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে সোপর্দ করা হয়। এর আগে গত জুলাই মাসে গাজীপুরের একটি মাদরাসা থেকে ৮ জন ও ঢাকার অপর একটি মাদরাসা থেকে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৩ মুসলিম ছাত্রকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে পুলিশ। আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে......... খবরের লিংক পড়ুন
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/01/08/181786#.UVB35EpwBGi

!!..চট্টগ্রামবিহীন বাংলাদেশ..!শিরোমান দেখে অনেকে অবাক হলেও, আন্তর্জাতিক মহলে চট্টগ্রামবিহীন বাংলাদেশের পরিচয়টিই প্রচারিত হচ্ছে। সম্প্রতি গ্লোবাল রিসার্চে একজন আমেরিকান লেখক নাইল বোয়ি (Nile Bowie)’র লেখা “চীনকে ঠেকানোর জন্যই কি মিয়ানমারের সম্প্রদায়গত সহিংসতা?”
খবরের লিংক পড়ুন https://www.facebook.com/notes/qymi-qlanto-potik/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/10200420930220249