শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৩

উপজাতিরা আদিবাসী নয় কেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্?


আসলেই কি নিজভূমে পরবাসী হয়ে গেলাম?
একটা উপজাতি নিয়ে কথা বললে আমাকে আমার জাত তুলে গালি দিয়ে যাবে আর আমাকে তা হজম করতে হবে? কিছু কিছু উপজাতি বালকরা তাদের “উপজাতি” বললে সম্মান খর্ব হয় বলে দাবি করে। তাদের দাবি তাদেরআদিবাসী বলতে হবে। এ সম্পর্কে চাকমা রাজা দেবাশিষ রায়ের কথাটিনা উল্লেখ করলেই নয়, তিনি দাবি তোলেন,
“সাংবিধানিকভাবে 'আদিবাসী' স্বীকৃতি দিলে মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, প্রান্তিক ও অনগ্রসরএই ১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ তাদের প্রান্তিক অবস্থান জানানোর একটি আইনি ভিত্তি পাবে। এই মর্যাদা তাদের কোনো ‘বিশেষ’ সুবিধা দেবে না।”
কিছুটা হাস্যকর মনে হতে পারে সবার কাছে। কারণ তার মতে আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে প্রান্তিক ও অনগ্রসর এই ১ শতাংশউপজাতি একটি আইনী ভিত্তি বৈ আর কোনো ‘বিশেষ’ সুবিধা পাবে না। তাহলে বাবা ‘উপজাতি’ নামটার সাথেসমস্যা কোথায়? উপজাতি বললে কি তারা কোনো আইনি ভিত্তি পাচ্ছে না? কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না?
দেবাশিষ রায় হয়ত ভুলে গেছেন এইসব সস্তা টেকনিক সবার সাথে চলে না। আপাতত সেসব প্রসঙ্গে নাযাই। আসুন আদিবাসী আর উপজাতি শব্দ দু’টির বিশ্লেষণ করি। বাংলা একাডেমী অভিধান অনুসারে, ‘উপজাতি’ শব্দের অর্থ হলো, “[বিশেষ্য পদ] সংস্কৃত ছন্দোবিশেষ, প্রধান জাতির অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্রতর জাতি বা সম্প্রদায়; পাহাড়িয়া বা বন্য জাতি।” সহজ অর্থে অনেকেই আবার “ক্ষুদ্র জাতি, যারা মূল জাতি থেকে আলাদা”। আর আদিবাসী শব্দেরঅর্থ “একটি অঞ্চলের আদিম অধিবাসী যারা ঐ অঞ্চলের মূল সংস্কৃতির ধারক”।
বাংলাদেশে পাহাড়ী জনগোষ্ঠি তথা উপজাতি রয়েছে ৪০ থেকে ৪৫টির মতো। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারো, মণিপুরী, মুরং, খাসি, হাজং,ওঁরাও, রাজবংশী। যাদের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, চাক, মুরং ইত্যাদি প্রায় ১৩ টি উপজাতির বাস আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে । এদের আগমন “সিনলুনও চীন” ( লুসাই, পাংখু, মোরো ও খুমি গোত্র) , ভারতের “ত্রিপুরা রাজ্য” (ত্রিপুরা, মুরং, রিয়ং), বার্মা বা মায়ানমারের “আরাকান” (চাকমা, মগ ইত্যাদি গোত্র ) হতে।এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং সবচাইতে বড় গোষ্ঠী হলো ‘চাকমা’ যারা মূলত মায়ানমারের অধিবাসী; এরা ১৫৯৩ সালে আরাকান রাজার সাথে যু্দ্ধে পরাজিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে আবাস গড়ে তুলেছে।
নৃবিজ্ঞানী, ড. এবনে গোলাম সামাদ, “পার্বত্য তিন জেলা নিয়েষড়যন্ত্র রুখোঃ দেশবাসী সচেতন হও”, শীর্ষক কলামে বলেছেন,
“এখানে এমন অনেক উপজাতির বাস, যারা ইংরেজ আমলের আগে ছিল না। ইংরেজ আমলে প্রধানত আরাকান থেকেএখানে উপনিবিষ্ট হয়েছে। এদিক থেকে বিচার করলে এখানে তাদের বলতে হয় পরদেশি। ওই অঞ্চলের ভুমিজ সন্তান তারা নয়। অনেকে নাজেনে তাদের মনে করেন আদিবাসী। চাকমা, মারমা প্রভৃতিকে আদিবাসীহিসেবে চিহ্নিত করা খুবই বিভ্রান্তিকর।”
বছরখানেক আগে বোমাং রাজা স্পষ্টই বলেছেন যে, তারা মোটেও আদিবাসী নন। তারা এ অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেছেন মাত্রকয়েকশত বছর আগে।
এবার আসুন কেন এসব উপজাতিকে আদিবাসী বলা যাবে না, আর বললে সমস্য কী?
২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ একটি রেজুলেশন পাস করে যার নম্বর ৬১/২৯৫। মোট ৪৬ অনুচ্ছেদের ঐ রেজুলেশানে আদিবাসী নীতি সম্পর্কে পাক্কা দু’টি অনুচ্ছেদরয়েছে। রেজুলেশানের চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে
“আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ বা স্থানীয় বিষয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসন বা নিজ সরকার (self government) পরিচালনার অধিকার থাকবে ।”
পঞ্চম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে
“আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের আইনী ব্যবস্থাসহ স্বতন্ত্র রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজস্ব অবকাঠামো তৈরি এবং উন্নয়নের অধিকার সংরক্ষণ করে ।”
এতক্ষনে নিশ্চই আমার সুশীল ভাইগন বুঝতে পেরেছেন, কোনমতে যদি তারা আদিবাসী নামটা কাগজে-কলমে পেয়ে যান তাহলে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে যে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে না থেকে একটি পৃথক সরকার ও রাষ্ট্র গঠিত হবে।
শত অপকর্ম সত্ত্বেও এবিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো যায়। আবুল-মুহিতদের এই প্রধানমন্ত্রী আবেগের বশে পড়ে বাঙালিদের একদম ভুলে যান নি। জাতিসঙ্ঘের কাছে সই-সাবুদ করে দেশ বেচে আসেন নি। তিনি আইএলও সনদ ১৬৯ নামক সনদে অনুস্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছেন। সনদের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তথাকথিত আদিবাসীদের ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহৃত ভূমির মালিকানা বা দখলদারিত্বের অধিকার নিশ্চিত করবে সরকার। সনদের ১৩ অনুচ্ছেদে এই সেটেলার আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের সাথে সম্পৃক্ত ভূমি বা অঞ্চলের প্রতিসরকারকে শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জাতিসঙ্ঘের আদিবাসী ফোরাম বাংলাদেশের উপর অনুস্বাক্ষর করার চাপ সৃষ্টি করলেও বিরত থেকেছে বাংলাদেশ সরকার।
তাই বলে পিছিয়ে নেই চাকমা নেতৃত্ত্বাধীন পাহাড়ী জনগোষ্ঠী, সন্তু লারমার নতুন ফন্দিমতো ধীরে ধীরে খ্রিষ্টানাইজেশান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে পাহাড়ী অঞ্চলের উপজাতিদের মধ্যে। লারমা বাবুর নতুন এই চাল অনুযায়ী যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখানো যায় খ্রিষ্টান আদিবাসী সম্প্রদায় পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বাধীন ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। এই প্রক্রিয়া অনেক বছর আগের শুরু হয়ে গেছে।

আরব বণিকদের মাধ্যমে মিয়ানমারের জনগণ ১২শ’ বছর আগে ইসলাম ধর্মের সংস্পর্শে আসে। গত সহস্রাব্দের প্রথমার্ধে আরাকানের বৌদ্ধ রাজা বিদ্রোহীদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হলে তার অনুরোধে গৌড়ের সুলতান কয়েক দফায় সেখানে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
১৪৩২ সালে গৌড়ের সেনাপতি সিন্দি খান আরাকানের প্রাচীন রাজধানী ম্রোহংয়ে মসজিদ নির্মাণ করেন। ওই সময় থেকেই বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং স্বাধীন আরাকান রাজ্যের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আরাকানে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং রাজসভায় বাংলাভাষা বিশেষ স্থান লাভ করে। মহাকবি আলাওল, শাহ ছগির, মাগন ঠাকুরের মতো মধ্যযুগের বিখ্যাত কবিরা আরাকান রাজ্যের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। আরাকান রাজারা বৌদ্ধ ধর্ম চর্চা করলেও মুসলমান পোশাকি নাম গ্রহণ করেন।
অর্থাত্ মিয়ানমারের আরাকান অংশে ইসলাম ধর্ম এবং বাংলা ভাষার বিস্তার লাভ ৬শ’ বছরেরও অধিককাল আগের ঘটনা। সে তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের আগমন সেদিন ঘটেছে। অথচ মিয়ানমারে ওইসব মুসলমানের নাগরিকত্ব নিয়ে এই শতাব্দীতে এসে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এদিকে সীমান্তের এ পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মদতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী একদল চিহ্নিত দালাল শ্রেণীর নাগরিক চাকমা জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী সাব্যস্ত করে এদেশের প্রকৃত ভূমিপুত্রদের অধিকার হরণের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চললেও তথাকথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় (International Community) নিশ্চুপ রয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অধিক সংখ্যায় উদ্বাস্তু গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের ওপর অন্যায় চাপ সৃষ্টি করে তাদের দায়িত্ব সেরেছে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারি মহল নিরাশ্রয় রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের প্রতি যে চরম অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তার নিন্দা জানালেও এ কথা মানতে হবে, মিয়ানমারের মুসলমান শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিলেই মূল সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
কয়েক লাখ রোহিঙ্গা দুই যুগেরও অধিককাল টেকনাফ অঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র। অর্থনৈতিকভাবে আমরা এখনও একটি পশ্চাদপদ দেশের নাগরিক। যৌক্তিক কারণেই আমাদের পক্ষে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কোনো অতিরিক্ত জনগোষ্ঠীর ভার বহন করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর বিষয়ে সচরাচর যে উত্কণ্ঠা, উত্সাহ দেখিয়ে থাকে তার কিয়দাংশ রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রদর্শন করলে সমস্যাটির দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে সহায়ক হতো। এসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর আদিবাসী নামকরণে বাংলাদেশকে অব্যাহত অন্যায় চাপ দিলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের নীরবতা বিস্ময়কর।
এমন ধারণা পোষণ করা অমূলক হবে না, মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী যদি মুসলমান ধর্মাবলম্বী হয়ে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা ভিন্নধর্মের হতো তাহলে দ্বিমুখী চরিত্রের (Double Standard) পশ্চিমাদের সুর পাল্টে যেত। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা কিছুদিন আগে মিয়ানমার সফরে এসে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে অন্তত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ার ফলে মিয়ানমার সরকার সাময়িকভাবে হলেও মুসলমান নির্যাতনে বিরতি দিয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত সংগঠন ওআইসি (OIC) তার দায়িত্ব পালনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, জতিগত শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার জন্য মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে একটা নিন্দা প্রস্তাবও এ নির্বিষ সংগঠনটি আনতে পারেনি। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন চললেও ওআইসির যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে অমার্জনীয় ব্যর্থতা সংগঠনটির কার্যকারিতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
লেখাটি বিস্তারিত পড়তে এই লিংটি দেখুন >>>> http://amarchintaa.com/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95-174/ (আমার দেশ, ২৭/১২/২০১২)


১০ মার্চ ২০০৮ দৈনিক সমকালের রিপোর্টে বলা হয়,
“পাবর্ত্য চট্টগ্রামে শত শত উপজাতীয় লোক ধর্মান্তরিত হচ্ছে। পাংখোয়া, লুসাই ও বোমাংসহ আরো অনেক উপজাতীয় মানুষের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে। কিছুসংখ্যক চাকমাও আদি ধর্ম ছেড়ে গ্রহণ করেছে খ্রিষ্ট্রধর্ম। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধে বাঙালি-পাহাড়িদের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্তিতিতে অস্থির রয়েছে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম। তার ওপর গহীন অরণ্যে পাহাড়িদের মধ্যে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন উপজাতি নেতারা। কারণ এতে পাহাড়িদের মধ্যেই সম্প্রীতিতে ফাটল ধরছে।
লেখাটি বিস্তারিত পড়তে এই লিংটি দেখুন >>>> http://www.nagorikblog.com/node/9902 (অর্ধতত্‍সম এর বাংলা ব্লগ)

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও বাংলাদেশঃ বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রনীতি মানিনা মানবোনা ।।

পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সিনিয়র সহকারী সচিব ফারহানা হায়াতকে দিয়ে গত ১১ অক্টোবর, ২০১২ তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের উপজাতীয়দের ৩,৭০০ পরিবারকে উঁচুভুমি বন্দোবস্তী দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৩০ পরিবার দেখানো হচ্ছে ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী এবং অন্যান্যরা হচ্ছে রাবার প¬ান্টার হিসেবে।
বাস্তবতা হচ্ছে ১২,২২২ পরিবারকে সরকার ২২ দফা প্যাকেজের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরিয়ে এনেছে এবং পুনর্বাসনও করেছে। আর রাবার প¬ান্টার হিসেবে যাদেরকে বন্দোবস্তী দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তারা সবাই প্রভাবশালী পাহাড়ি এবং যেসব জায়গা দেয়ার পরিকল্পনা চলছে তা ১৯৮১-১৯৮২ সালে বাঙ্গালীদেরকে বরাদ্ধ দেওয়া জায়গা। যখন নব বিক্রমের এক প্রেতাত্বা মন্ত্রনালয়ে বসে এসব করছে তখন আরেক প্রেতাত্বা খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম খাগড়াছড়িতে বসে ইতিমধ্যে বেশ কিছু বন্দোবস্তী ফাইল স্বাক্ষর করে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জেলা পরিষদে পাঠিয়েছেন।
সরকারের নিকট হতে বন্দোবস্তী প্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গ ছাড়াও বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের আরো ২০ হাজারের অধিক বন্দোবস্তী মামলা তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকদের কার্যালয়ে ১৯৮৩-৮৪ সাল থেকে পড়ে আছে। তাদের ভুমি মামলাগুলো আটকে রেখে মানবতার শত্র“-ধর্মের কলঙ্ক খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ করিম পাহাড়িদের মামলাগুলো ছেড়ে দিচ্ছে।
পাহাড়ে বাঙ্গালীদের সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা আর বঞ্চনার শিকার হতে চাই না। অধিকারকখনও কোন সরকার কাউকে এমনিতেই দেয় না।
অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়।পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পার্বত্য বাঙালীদের নিয়ে যে খেলা শুরু করেছেসেই খেলায় এ সচিবের পরাজয় ঘটবে। ভূমি জরীপ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে এক মুঠো মাটি বন্দোবস্তী দেওয়া হলে পার্বত্যবাসীদের নিয়ে ভবিষ্যতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে

#

কাপ্তাই লেকে নতুন যড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি এবং নিঃসন্দেহে এটি একটি ষড়যন্ত্র আমার FBবন্ধু গাজী সাহেব ষড়যন্ত্রের বিষয়ে একটু আচ করে লিখলেন(এখনো শুকানো হয়নি কাপ্তাইহ্রদের পানি, কৃষকদের ভাগ্য আকাশে দুর্ভিক্ষের অশনী সংকেতঃ নিয়তির কাছে নিজেদের সমর্পন করে চরম হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে দিনাতিপাত করছেন কাপ্তাই হ্রদের বাঙালি কৃষকরা ।প্রতিবছর এই সময়ে সবুজ ধান আর নানানজাতের মৌসুমী ফসলে ছেয়ে থাকতো মাঠ) এবিষয়ে JSS এর প্রতিদ্বন্ধি UPDF ও আশংকা প্রকাশ করেছে এবং তারাও পানি সম্পর্কে যড়যন্ত্র হিবেসে উল্লেখ করেছেন সুতরাং আন্দোলন জরুরী নইলে কৃষক মরবে।কাপ্তাই লেকের দৃশ্যশুধু সুন্দর আর শুধু মিঠা মাছের অভয়রান্য ই নয় । মূললেকের উপরে রয়েছে প্রচুর কৃষিজমি অন্যন্য বছর ১৫ জানুয়ারীর মধ্যেই লেকসংলগ্ন নালা গুলী শুকিয়ে কৃষি জমিতে পরিনত হয় এবং এই সময়ের মধ্যেই উপজাতি ও বাঙগালী কৃষকগন ধান রোপন করে বাতর ঘুরে ঘুরে দেখতেন ।দুঃখের বিষয়হল সে সব ক্ষেতি ভূমিতে আজো অথৈপানি ।কয়েকজনের কাছে শুনলাম লংগদু উপজেলার মাইনী বাজারে ডোলপিটিয়ে ধানের চারা (জালা) ফালতে নিষেধ করা হয়েছে কেউ কেউ বলছে UNDPলিজ নিয়েছে যারা দেশ ওদেশের মানুষ নিয়ে ভাবেন তাদের কাছে আবেদন রইল বিষয়টা দেখার জন্য পানি কেন কমছেনা

অস্থির পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই লেখাটির লিংক >>> http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=139613
#

দৃষ্টি আকর্ষনঃ
মায়ানমার থেকে বিপুল পরিমান অস্র বাংলাদেশে প্রাচার কালে ভারতের মিজোরাম রাজ্য সিআইডির হাতে আটক হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন রাষ্ট্রদ্রোহী উপজাতি সন্ত্রাসী । উল্লেখ্য যে তারা সকলেই সরকারের দুধ কলায় পোষা সন্তু লারমার জেএস এস এর কর্মী । বিপুল পরিমান এই অস্র ভান্ডার পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্র গোষ্ঠিগুলোর কাছে পৌছাতে চেয়েছিল । নিউজটি শেয়ার করে আমাদের দেশের ছাপোষা বুদ্ধিজীবি গুলোকে জানিয়ে দিন ।খবরের লিংক পড়ুন http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-09/news/335183
#
গত ১৩ মার্চ আটককৃত ৪ বাংলাদেশীকে আজোও ছাড়েনি নাসাকা, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ইন্টারোগেশন সেলে>>>

বান্দরবানের ঘুনধুম সীমান্তে নাসাকার হাতে আটক তিন পুলিশসহ চার বাংলাদেশীকে নাসাকার ক্যাম্পে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
খবরের লিংক http://www.bartalive24.com/bandarban-news/7428-2013-03-22-05-49-20
#

পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎপর ইউএনডিপিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অধিকাংশ পদে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের নিযুক্তি দেয়া হয়েছে ও হচ্ছে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, মূলভূমি বা দেশ থেকেবিচ্ছিন্ন করার আগে পূর্বতিমুর ও দণি সুদানেও একইভাবে মুসলমানদের খ্রিস্টান বানানো হয়েছিল।পার্বত্য চট্টগ্রামেও পাশ্চাত্যের কয়েকটি খ্রিস্টানপ্রধান দেশ এবং তাদের অর্থে পরিচালিত এনজিও দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে মানুষকে খ্রিস্টান বানাচ্ছে। পার্বত্য সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্রআসছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে। এভাবে সন্ত্রাসীরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, আর কিছুদিন পর তাদের নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়েপড়বে। এ সম্ভাবনার ভিত্তিতেই সেনা সদর বলেছে,দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন সুযোগ নিতে না পারে , বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা ঘন ঘন পার্বত্য চট্টগ্রাম সফর করছেন। সাংবাদিকসহ বিদেশিলোকজনের আনাগোনা অনেক বেড়ে চলেছে। সেখানে তারা উস্কানিও দিচ্ছে। সব দেখে-শুনে তথ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে বিদেশিদের নিশ্চয়ই কোনো গোপন ‘এজেন্ডা’ রয়েছে। লেখাটি বিস্তারিত পড়তে নিচের লিংকটি অনুসরন করুন >>http://www.weeklysonarbangla.net/news_details.php?newsid=1108
#
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/12/27/179955http://amardeshonline.com/pages/details/2012/12/27/179955www.amardeshonline.com#পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্মম নির্যাতনের শিকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মুসলমানরা ঢাকায় এসে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েও রেহাই পাচ্ছেন না। পুলিশ ও র্যাবে নিয়োজিত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের পাশাপাশি থানায় সোপর্দ করছে। পার্বত্যাঞ্চলের খ্রিস্টান মিশনারিদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্সে হানা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে থাকা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওইসব সদস্য। সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি রাজধানীর বাসাবো এলাকার একটি মাদরাসায় হানা দিয়ে পুলিশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৫ মুসলিম এবং তাদের ১১ সন্তানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। একই মাদরাসায় অধ্যয়নরত আরও ৫ জনকেও আটক করে তেজগাঁও থানা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে সোপর্দ করা হয়। এর আগে গত জুলাই মাসে গাজীপুরের একটি মাদরাসা থেকে ৮ জন ও ঢাকার অপর একটি মাদরাসা থেকে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৩ মুসলিম ছাত্রকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে পুলিশ। আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে......... খবরের লিংক পড়ুন
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/01/08/181786#.UVB35EpwBGi

!!..চট্টগ্রামবিহীন বাংলাদেশ..!শিরোমান দেখে অনেকে অবাক হলেও, আন্তর্জাতিক মহলে চট্টগ্রামবিহীন বাংলাদেশের পরিচয়টিই প্রচারিত হচ্ছে। সম্প্রতি গ্লোবাল রিসার্চে একজন আমেরিকান লেখক নাইল বোয়ি (Nile Bowie)’র লেখা “চীনকে ঠেকানোর জন্যই কি মিয়ানমারের সম্প্রদায়গত সহিংসতা?”
খবরের লিংক পড়ুন https://www.facebook.com/notes/qymi-qlanto-potik/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/10200420930220249



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন