যে কারনে ২০০৯ সালে বিডিআর ধংস করলো ভারত
*****************************************
আপনাদের কারো মনে কি এখনো বিন্দু মাত্র সন্দেহ আছে যে পিলখানার সেই নৃশংস হত্যাকান্ডে ভারতীয় মদদ ছিল কিনা, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের প্রত্যক্ষ হাত ছিল কিনা। তাহলে এই লেখাটি সম্পূর্ন পড়ুন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদের শনাক্ত করা কোনো দুরূহ ব্যাপার ছিল না। বাংলাদেশ ও এর সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ কে এবং কারা ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের অস্তিত্ববিরোধী, এ হত্যাকান্ডের বেনিফিশিয়ারি কে, কারা এ ঘটনার সাথে সাথেই অতিমাত্রায় তৎপরতা দেখিয়েছে ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওই অপশক্তিকে শনাক্তকরণ দুরূহ নয়।
ক্ষমতাসীন সরকারের বক্তব্য হলো- সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিরোধী দলের অভিযোগ- প্রতিবেশী দেশের মিত্রদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে, গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করতে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ভারতীয় সৈন্য পাঠিয়ে এ দেশকে ছায়ারাষ্ট্রে পরিণত করতে এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। অন্যদিকে ভারত এ ঘটনার পরপরই আইএসআইকে দায়ী করেছে। সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকারের কিছু মন্ত্রী এবং ভারতীয় সাহায্যপুষ্ট সংবাদমাধ্যম ভারতের অভিযোগের অনুকূলে তথ্য প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
কিছু প্রশ্ন যার জবাব আজও পাওয়া যায় নিঃ
(১) কেন এবং কার নির্দেশে ২০ ঘণ্টার জন্য পিলখানা বিডিআর ক্যাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হলো? আর সেই ঘনকৃষ্ণ অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই দুষ্কৃতকারীরা সমস্ত অপকর্ম করলো এবং পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলো?
(২) শেখ হাসিনার ভাষণের সাথে সাথেই সমগ্র পিলখানা বিডিআর ক্যাম্প কেন কর্ডন করা হলো না? প্রায় ১০ হাজার বিডিআর সদস্যকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হলো কেন?
(৩) ছাই রঙের অস্ত্র বোঝাই ট্রাকের কথা বলা হয়েছে। সেটি কার? কিভাবে সেটি ভেতরে ঢুকলো?
(৪) ৫ নং গেটকে সম্পূর্ণ অরক্ষেত রাখা হয়েছিল কেন?
(৫) হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার জন্যই বিডিআরে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে- ভারতের এই আশংকার ভিত্তি কি?
(৬) শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত হতে পারে, এমন আশংকায় আসামের একটি বিমান ঘাঁটিতে মুহূর্তের নোটিশে উড্ডয়নের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো কেন?
(৭) ডি এ ডি তৌহিদের নেতৃত্বে যে ১৪ জন বিডিআর সদস্য শেখ হাসিনার সাথে দেনদরবার করতে গিয়েছিলো, তাদের মধ্যে অবশিষ্ট ১২ জন গেলো কোথায়?এদের নামে থানায় এজাহার করা হয়নি কেন? এখন তারা কোথায়?
(৮) সম্মেলন শুরুর ৩ দিন আগে বিডিআর এর অস্ত্রাগার থেকে ৫টা অস্ত্র খোয়া যায়। ভিভিআইপি প্রোটোকল অনুযায়ী কোন অবস্থাতেই সেখানে (অস্ত্র খোয়া যাওয়া স্থানে) ভিভিআইপি কে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেল কিভাবে?
(৯) বলা হয়েছে বিডিআর জওয়ানরা অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করেছে। কিন্তু ভিভিআইপি প্রোটোকল অনুযায়ী যখন কোন ভিভিআইপি এইসব জায়গায় যায় তখন শুধুমাত্র তার ব্যাক্তিগত গার্ডদের কাছে ফায়ার করার মত অস্ত্র থাকে, বাকি অস্ত্রের disable করে রাখা হয়। তাহলে বিডিআর এর অস্ত্রাগারে ফায়ার করার মত অস্ত্র আসল কোথা থেকে?
(১০) ভারতের NDTV 24 -এ সকাল ১০:৪৫ এ স্ক্রলে এবং পরে সংবাদে বলা হয়েছে পিলখানায় মেজর জেনারেল শাকিল সহ ৫০ এর বেশি অফিসার মারা গেছেন। অথচ আমরা শাকিলের মারা যাবার খবর পেয়েছি তার পরের দিন, আর তখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি অফিসার মারা যায়নি। ভারতীয়রা এটা আগে জানলো কিভাবে?
তবে এর কিছু প্রশ্নের জবাব আমরা ধীরে ধীরে পেতে শুরু করেছি।
এবার আরও মনযোগ দিন।
একটি গেরুয়া রঙের ফিতার গল্প !
***************************************
আমাদের বিডিআররা কেন গেরুয়া রঙের ফিতা মাথায় লাগিয়ে আছে যা কিনা বাংলাদেশ বিরোধী একটি সশস্ত্র গ্রুপের চিহ্ন বহন করে,কেউ জবাব দেবেন কি?
এতে সরকারের কিছু করার ছিল না! তাহলে তারা কি সরকারের সাহায্য ছাড়াই মিশন শেষ করে আবার নিরাপদে ফিরে গেল?
এখন যেমন তত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার বিভিন্ন আওয়ামী নেতাদের দূর্নীতির স্বীকারোক্তি বেরিয়ে আসছে, তেমনি এদের আরেকবার থেরাপী দিলেই এই মেধাবী অফিসারদের হত্যার নেপথ্যের সব সংবাদ বেরিয়ে আসবে।অবশ্য বাংলাদেশে অবস্থা বেগতিক দেখলে এরা সেই ভারতেই পালিয়ে যায়।
শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেকেই আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষোভ ছিল শেখ হাসিনার, কিন্তু তাই বলে ভারতের একটি ট্রেইন্ড জঙ্গী গ্রুপের সহায়তায় এভাবে নৃশংস হত্যাকান্ড চালানো কোন ভাবেই মানতে পারি না।
(Thanks to Dasotto Shekol)
Youtube আবার বন্ধ করেছে,আমাদের ক্যান্টনমেন্টগুলাতে হাসিনা বুবু ইন্টারনেট কানেকশন কেটে দিতে পারেন এই লেখা দেখার পর !
শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজ দেশের স্বার্থ বিসর্জনকারী ভারত দালালদের মুখোশ উন্মোচন করে দিন। নারকীয় এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করুন।
*****************************************
আপনাদের কারো মনে কি এখনো বিন্দু মাত্র সন্দেহ আছে যে পিলখানার সেই নৃশংস হত্যাকান্ডে ভারতীয় মদদ ছিল কিনা, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের প্রত্যক্ষ হাত ছিল কিনা। তাহলে এই লেখাটি সম্পূর্ন পড়ুন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদের শনাক্ত করা কোনো দুরূহ ব্যাপার ছিল না। বাংলাদেশ ও এর সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ কে এবং কারা ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের অস্তিত্ববিরোধী, এ হত্যাকান্ডের বেনিফিশিয়ারি কে, কারা এ ঘটনার সাথে সাথেই অতিমাত্রায় তৎপরতা দেখিয়েছে ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওই অপশক্তিকে শনাক্তকরণ দুরূহ নয়।
ক্ষমতাসীন সরকারের বক্তব্য হলো- সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিরোধী দলের অভিযোগ- প্রতিবেশী দেশের মিত্রদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে, গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করতে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ভারতীয় সৈন্য পাঠিয়ে এ দেশকে ছায়ারাষ্ট্রে পরিণত করতে এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। অন্যদিকে ভারত এ ঘটনার পরপরই আইএসআইকে দায়ী করেছে। সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকারের কিছু মন্ত্রী এবং ভারতীয় সাহায্যপুষ্ট সংবাদমাধ্যম ভারতের অভিযোগের অনুকূলে তথ্য প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
কিছু প্রশ্ন যার জবাব আজও পাওয়া যায় নিঃ
(১) কেন এবং কার নির্দেশে ২০ ঘণ্টার জন্য পিলখানা বিডিআর ক্যাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হলো? আর সেই ঘনকৃষ্ণ অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই দুষ্কৃতকারীরা সমস্ত অপকর্ম করলো এবং পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলো?
(২) শেখ হাসিনার ভাষণের সাথে সাথেই সমগ্র পিলখানা বিডিআর ক্যাম্প কেন কর্ডন করা হলো না? প্রায় ১০ হাজার বিডিআর সদস্যকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হলো কেন?
(৩) ছাই রঙের অস্ত্র বোঝাই ট্রাকের কথা বলা হয়েছে। সেটি কার? কিভাবে সেটি ভেতরে ঢুকলো?
(৪) ৫ নং গেটকে সম্পূর্ণ অরক্ষেত রাখা হয়েছিল কেন?
(৫) হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার জন্যই বিডিআরে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে- ভারতের এই আশংকার ভিত্তি কি?
(৬) শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত হতে পারে, এমন আশংকায় আসামের একটি বিমান ঘাঁটিতে মুহূর্তের নোটিশে উড্ডয়নের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো কেন?
(৭) ডি এ ডি তৌহিদের নেতৃত্বে যে ১৪ জন বিডিআর সদস্য শেখ হাসিনার সাথে দেনদরবার করতে গিয়েছিলো, তাদের মধ্যে অবশিষ্ট ১২ জন গেলো কোথায়?এদের নামে থানায় এজাহার করা হয়নি কেন? এখন তারা কোথায়?
(৮) সম্মেলন শুরুর ৩ দিন আগে বিডিআর এর অস্ত্রাগার থেকে ৫টা অস্ত্র খোয়া যায়। ভিভিআইপি প্রোটোকল অনুযায়ী কোন অবস্থাতেই সেখানে (অস্ত্র খোয়া যাওয়া স্থানে) ভিভিআইপি কে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেল কিভাবে?
(৯) বলা হয়েছে বিডিআর জওয়ানরা অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করেছে। কিন্তু ভিভিআইপি প্রোটোকল অনুযায়ী যখন কোন ভিভিআইপি এইসব জায়গায় যায় তখন শুধুমাত্র তার ব্যাক্তিগত গার্ডদের কাছে ফায়ার করার মত অস্ত্র থাকে, বাকি অস্ত্রের disable করে রাখা হয়। তাহলে বিডিআর এর অস্ত্রাগারে ফায়ার করার মত অস্ত্র আসল কোথা থেকে?
(১০) ভারতের NDTV 24 -এ সকাল ১০:৪৫ এ স্ক্রলে এবং পরে সংবাদে বলা হয়েছে পিলখানায় মেজর জেনারেল শাকিল সহ ৫০ এর বেশি অফিসার মারা গেছেন। অথচ আমরা শাকিলের মারা যাবার খবর পেয়েছি তার পরের দিন, আর তখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি অফিসার মারা যায়নি। ভারতীয়রা এটা আগে জানলো কিভাবে?
তবে এর কিছু প্রশ্নের জবাব আমরা ধীরে ধীরে পেতে শুরু করেছি।
এবার আরও মনযোগ দিন।
একটি গেরুয়া রঙের ফিতার গল্প !
***************************************
আমাদের বিডিআররা কেন গেরুয়া রঙের ফিতা মাথায় লাগিয়ে আছে যা কিনা বাংলাদেশ বিরোধী একটি সশস্ত্র গ্রুপের চিহ্ন বহন করে,কেউ জবাব দেবেন কি?
এতে সরকারের কিছু করার ছিল না! তাহলে তারা কি সরকারের সাহায্য ছাড়াই মিশন শেষ করে আবার নিরাপদে ফিরে গেল?
এখন যেমন তত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার বিভিন্ন আওয়ামী নেতাদের দূর্নীতির স্বীকারোক্তি বেরিয়ে আসছে, তেমনি এদের আরেকবার থেরাপী দিলেই এই মেধাবী অফিসারদের হত্যার নেপথ্যের সব সংবাদ বেরিয়ে আসবে।অবশ্য বাংলাদেশে অবস্থা বেগতিক দেখলে এরা সেই ভারতেই পালিয়ে যায়।
শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেকেই আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি ক্ষোভ ছিল শেখ হাসিনার, কিন্তু তাই বলে ভারতের একটি ট্রেইন্ড জঙ্গী গ্রুপের সহায়তায় এভাবে নৃশংস হত্যাকান্ড চালানো কোন ভাবেই মানতে পারি না।
(Thanks to Dasotto Shekol)
Youtube আবার বন্ধ করেছে,আমাদের ক্যান্টনমেন্টগুলাতে হাসিনা বুবু ইন্টারনেট কানেকশন কেটে দিতে পারেন এই লেখা দেখার পর !
শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজ দেশের স্বার্থ বিসর্জনকারী ভারত দালালদের মুখোশ উন্মোচন করে দিন। নারকীয় এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করুন।
এই ফটো স্ট্যাটাসটির নাম এভাবেই বলতে চাই।
https://www.facebook.com/dasotto.dasotto/posts/490250577697228
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন